মণিপুর ভায়োলেন্স, প্রধানমন্ত্রীর নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা
ব্রেকিং বাংলা ন্যাশনাল ডেস্ক, ২০ জুলাই : মণিপুরে দুজন মহিলাকে নগ্ন করে প্যারেড করার ঘটনা দেশজুড়ে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নীরবতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। মণিপুরের এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। তিনি টুইট করেছেন এবং বলেছেন যে দুই মহিলার বিরুদ্ধে সংঘটিত এই অপরাধ দেখে আমরা মণিপুর পুলিশকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।
তিনি বলেছিলেন যে আমাদের পুলিশ এই বিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত করছে এবং রাজ্য সরকার এই বিষয়ে দোষীদের শাস্তি দেওয়ার চেষ্টা করবে। তিনি বলেন, সভ্য সমাজে এ ধরনের ঘটনার কোনো স্থান নেই।
আড়াই মাসেরও বেশি সময় ধরে দেশে সহিংসতার শিকার মণিপুরে নারীদের নগ্ন হয়ে প্যারেড করার কারণে দেশে ক্ষোভের পরিবেশ বিরাজ করছে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে গোটা বিরোধীরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের পদত্যাগ দাবি করছেন।
২০শে জুলাই থেকে দেশে বর্ষা অধিবেশনও শুরু হচ্ছে, এমন পরিস্থিতিতে বিরোধীরা সংসদ, লোকসভা এবং রাজ্যসভার দুটি কক্ষে তোলপাড় সৃষ্টি করবে এবং মণিপুর ইস্যুতে সরকারের কাছে জবাব চাইবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিরোধী দলগুলোর টুইট থেকেও তা অনুমান করা যায়। এই ইস্যুতে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেছেন যে মণিপুরে ভারতের ধারণাকে আক্রমণ করা হয়েছে, তাই বিরোধী দলগুলির জোট 'ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স' (ইন্ডিয়া) এই বিষয়ে কিছুতেই চুপ থাকবে না।
এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পরে, রাহুল গান্ধী টুইট করেছেন, 'প্রধানমন্ত্রীর নীরবতা এবং নিষ্ক্রিয়তা মণিপুরকে নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দিয়েছে। আমরা মণিপুরের মানুষের পাশে আছি। শান্তিই এগিয়ে যাওয়ার একমাত্র পথ।'
কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভাদ্রা টুইট করেছেন, 'মণিপুর থেকে আসা মহিলাদের বিরুদ্ধে যৌন সহিংসতার ছবি হৃদয় বিদারক। নারী নির্যাতনের এই নৃশংস ঘটনার নিন্দার পরিমাণ কম। সমাজে সহিংসতার সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হতে হয় নারী ও শিশুদের। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী প্রশ্ন করেন, 'কেন্দ্রীয় সরকার, প্রধানমন্ত্রী মণিপুরের সহিংস ঘটনায় চোখ বন্ধ করে বসে আছে কেন? এ ধরনের ছবি ও সহিংস ঘটনা কি তাদের বিরক্ত করে না?
No comments:
Post a Comment