প্রোটিন শেকের ব্যবহার
ব্রেকিং বাংলা হেলথ ডেস্ক, ০১ জুলাই : প্রোটিন শেক এর প্রবণতা ক্রমেই বাড়ছে। বেশিরভাগ লোকই ওয়ার্কআউটের পর প্রোটিন শেক পান করতে পছন্দ করেন। ছোট থেকে বড় সবাই এই শখের সাথে জড়িত। তবে এটি সবার জন্য স্বাস্থ্যকর কিনা তা জানাও গুরুত্বপূর্ণ? ১৬ বছরের এক শিশুর মৃত্যুর পর এই প্রশ্ন উঠছে। যার মৃত্যুর কারণ প্রোটিন শেক দ্বারা উদ্ভূত একটি জেনেটিক অবস্থা বলে মনে করা হয়। এ ঘটনায় মৃতের নাম রোহান গোধানিয়া। যিনি প্রোটিন শেক পান করে তিন দিন অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তারপর ব্রেন ড্যামেজ হয়ে যান। এটা ২০২০ সালের ব্যাপার। এরপর তদন্তে দেখা যায়, ওই প্রোটিন শেক-এর কারণে ওই শিশুর মধ্যে অর্নিথাইন ট্রান্সকারবামাইলেজ নামে একটি জেনেটিক রোগের জন্ম হয়।
উচ্চ প্রোটিনের প্রভাব:
এই শিশুর মেডিক্যাল রিপোর্টের ভিত্তিতে ধারণা করা হয়েছিল, শরীরে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি থাকায় অর্নিথাইন ট্রান্সকার্বামাইলেজ নামে একটি বিরল জেনেটিক রোগ তৈরি হয়েছে। এই বিরল রোগটি শরীরে অ্যামোনিয়ার ভাঙ্গন বন্ধ করে দেয়। আর রক্তে অ্যামোনিয়া বাড়তে থাকে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, প্রোটিন শেক হজমের প্রক্রিয়ার পর শরীরে অনেক ধরনের বর্জ্য পদার্থ তৈরি হয়। যারা এমন প্রভাব ফেলতে পারে।
এ বিষয়ে করোনার টম অসবোর্নের প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে বিশেষজ্ঞদের সতর্ক করা হয়েছে যে এ বিষয়ে প্রোটিন পাউডারের ওপর একটি সতর্কবার্তা লেখা উচিৎ।
এই ঘটনার পর স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের অভিমত, প্রোটিন শেক পান করার আগে জেনে নেওয়া উচিৎ শরীরের কতটা তা প্রয়োজন? জিমে যান বা ব্যায়াম ছাড়া প্রোটিন শেক পান করেন এমন লোকেরাই হোন, অত্যধিক পান সবার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। যতটা সম্ভব প্রাকৃতিক প্রোটিন গ্রহণ করুন। যদি প্রোটিন শেক পান করেন তবে শরীরের প্রয়োজনীয়তা বুঝে তবেই এটি ব্যবহার করুন।
No comments:
Post a Comment