যমুনার জলস্তর বৃদ্ধি, নিতে হচ্ছে নৌকোর সাহায্য
ব্রেকিং বাংলা ন্যাশনাল ডেস্ক, ১৩ জুলাই : দিল্লিতে যমুনার জলস্তর বৃদ্ধি গুরুতর উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠছে। কারণ দিল্লির নিচু এলাকায় বন্যার কবলে চলে এসেছে। কিছু এলাকায় পৌঁছতে উদ্ধারকারী দলকে নৌকোর সাহায্য নিতে হচ্ছে। দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লি, পূর্ব দিল্লি এবং উত্তর-পূর্ব দিল্লির বেশিরভাগ এলাকায় জল দেখা যাচ্ছে। হরিয়ানার হাতিনিকুন্ড ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার কারণে, যমুনার জল এখন জিটি কারনাল রোড, কাশ্মীরে গেট, আউটার রিং রোড, যমুনা বাজার, আইটিও এবং দিল্লি গেটে পৌঁছেছে।
যমুনার জলস্তর বৃদ্ধির এই ধারাবাহিকতা যদি এক থেকে দু দিন চলতে থাকে, তাহলে দিল্লি গেট এবং আইটিও হয়ে নয়াদিল্লি রেলস্টেশন, কনট প্লেস, প্রগতি ময়দান এলাকায় যমুনার জল ছড়িয়ে পড়তে পারে। যদিও এসব এলাকা নিরাপত্তার দিক থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পার্লামেন্ট হাউস, ইন্ডিয়া গেট, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধান মন্ত্রকগুলি এখান থেকে অল্প দূরে অবস্থিত, যেখান দিয়ে সমগ্র দেশ পরিচালিত হয়।
১৩ই জুলাই সকালে যমুনার জলস্তর ২০৮.৪৬ মিটার অতিক্রম করেছে। যমুনার বাজার পুরোপুরি তলিয়ে গেছে। এখানে লোকজন নৌকোর সাহায্য নিতে বাধ্য হচ্ছে। শুধু তাই নয়, দিল্লির আউটার রিং রোড জলের কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিখ্যাত বাসভবনের চারদিকে জল।
যমুনা নদীর জলস্তর বৃদ্ধির পর দিল্লির জিটি কারনাল রোডে জলাবদ্ধতার কারণে যান চলাচল ব্যাহত হয়েছে। এছাড়া জিটি কারনাল রোড, কাশ্মীরি গেট, আউটার রিং রোড, যমুনা বাজার, আইটিও, দিল্লি গেট পর্যন্ত জল ঢুকেছে। দিল্লিতে, যমুনা নদীর জলস্তর বৃদ্ধির কারণে কাশ্মীরে গেটের কাছে নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। জলস্তর ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ার পর, এনডিআরএফ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য স্পট উদ্ধার অভিযানে নিয়োজিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ১২ জুলাই যমুনার জলস্তর বৃদ্ধির পর পুরনো লোহার সেতু বন্ধ করে দেওয়া হয়। যমুনার জলমগ্ন এলাকায় দিল্লি পুলিশ ১৪৪ ধারা প্রযোজ্য। এলজি বিনয় সাক্সেনা নিজেই নৌকোয় চড়ে যমুনার জলস্তর ও বন্যার খবর নেন। কেন্দ্রীয় জল কমিশন জলস্তর রেকর্ড বৃদ্ধির ঘোষণা দেওয়ার পরে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জনগণকে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ এলাকায় পৌঁছানোর আবেদন করেছিলেন। এখন পর্যন্ত হাজার হাজার লোক দিল্লি সরকারের স্থাপিত শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে। দিল্লি সরকারের সঙ্গে জড়িত মন্ত্রীরা প্রতিনিয়ত বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করছেন।
No comments:
Post a Comment