বেলপাতার ধর্মীয় গুরুত্ব
মৃদুলা রায় চৌধুরী, ০৭ জুলাই : সনাতন ঐতিহ্যে, ভগবান শিব এমন একজন দেবতা যিনি শুধু জল এবং বেলপাতা নিবেদন করলেই খুশি হন সনাতন ঐতিহ্যে সৌভাগ্যের সাথে যে বেলপত্র জড়িত তা সুস্বাস্থ্যের সাথেও জড়িত। চলুন সৌভাগ্য ও স্বাস্থ্যের এই পবিত্র পাতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই-
বেলপাতা সুস্বাস্থ্যের আশীর্বাদ দেয় :
যে বেলপাতা শিবপূজোয় নিবেদন করলে সুখ ও সৌভাগ্যের আশীর্বাদ পাওয়া যায়। আয়ুর্বেদ অনুসারে, ভগবান শিবের উপাসনায় ব্যবহৃত বেলপাতা সমস্ত শারীরিক ব্যথা দূর করতে এবং স্বাস্থ্য প্রদানে কাজ করে। বেলপাতা থেকে আহরিত রস পোকা মাকড় কামড়ানো জায়গায় লাগালে জ্বালাপোড়া কমে যায়, আবার এর থেকে তৈরি ক্বাথ জ্বর ও হৃদযন্ত্র ও শ্বাস সংক্রান্ত রোগ কমাতে খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। বেলপাতা চিবিয়ে যেখানে মুখের ঘা দূর হয়, সেখানে পেটের কৃমি দূর করতে এটি খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়।প্রতিদিন খালি পেটে বেলপাতা খেলে হৃদপিণ্ড ও পেট সংক্রান্ত সব ধরনের রোগ নিরাময় হয়।
ধর্মীয় তাৎপর্য:
যদি কোনও ভক্ত শ্রাবণ মাসে ভগবান শিবের আরাধনায় বেলপাতা নিবেদন করেন, তাহলে ভগবান শিব তার সবচেয়ে বড় ইচ্ছা দ্রুত পূরণ করেন। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে, শিব ভক্ত যদি বেল গাছের নীচে বসে শিবকে অভিষেক করেন, তাহলে তিনি সমস্ত পাপ থেকে মুক্তি পেয়ে অক্ষয় পুণ্য লাভ করেন। শিবের উপাসনায় যদি কেউ বেলপাতার ওপর শ্বেত চন্দন দিয়ে 'ওম' লিখে মহাদেবকে নিবেদন করে এবং প্রসাদ মনে করে নিজের ধনস্থানে রাখে, তাহলে তার আর্থিক কষ্ট দূর হয়। এমনও বিশ্বাস করা হয় যে কেউ যদি শ্রাবণ মাসে কাঁচা দুধে বেলপাতা ডুবিয়ে শিবলিঙ্গে অর্পণ করেন, তাহলে শিবের কৃপায় তিনি শীঘ্রই সন্তানের সুখ লাভ করেন।
No comments:
Post a Comment