চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধার, তদন্তে পুলিশ
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা, ১৮ জুলাই : কলকাতায় প্রকাশ্যে এল এক চিকিৎসকের রহস্যমৃত্যুর ঘটনা। মঙ্গলবার প্রগতি ময়দান থানার একটি বহুতল ভবনের নিচ থেকে ওই চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই অ্যাপার্টমেন্টেই থাকেন ওই চিকিৎসকের প্রেমিকা। তার প্রেমিকাকে বলা হচ্ছে বিদেশি। নিহত চিকিৎসকের নাম ডাঃ শুভঙ্কর চক্রবর্তী বলে জানা গেছে। তিনি একজন শিশু বিশেষজ্ঞ ছিলেন। ডাঃ শুভঙ্কর চক্রবর্তীর বাড়ি নিউটাউনের সিটি সেন্টার এর কাছে একটি কমপ্লেক্সে। তিনি তার প্রেমিকার সাথে ব্যাংককে তার ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। মৃত্যুর পর বিদেশি প্রেমিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা তিনি নেশাগ্রস্ত ছিলেন। প্রগতি ময়দান থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ আবাসনের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, নিউটাউনের বেসরকারি শিশু হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন শিশু বিশেষজ্ঞ শুভঙ্কর চক্রবর্তী। সোমবার রাত নয়টার দিকে তিনি বাড়ি থেকে বের হন। হাসপাতালে কাজের কারণে তিনি বাইরে ছিলেন। গভীর রাতে বাড়ি না ফেরায় শুভঙ্করকে খুঁজতে বেরোয় পরিবারের লোকজন।
ভোর ৩টার দিকে শেষবার তার সঙ্গে কথা হয় পরিবারের সদস্যদের। পরে সকালে তাঁর মরদেহ দেখতে পেয়ে পরিবারের লোকজনকে খবর দেয় পুলিশ। পুলিশের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, শুভঙ্কর চক্রবর্তীর মাথার পেছনে একটি আঘাত রয়েছে এবং তার শরীরে অনেক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
পুলিশের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, প্রাথমিক তদন্তে এ তথ্য পাওয়া গেছে। তার মতে, অষ্টম তলা থেকে পড়ে যাওয়ায় ওই চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে হাউজিং কমপ্লেক্সে খোঁজ নিয়ে এসব তথ্য পেয়েছে পুলিশ।
কয়েকদিন আগে কলকাতার কাছে ব্যারাকপুর সামরিক সেনানিবাসের ম্যান্ডেলা হাউসের বাড়ী থেকে এক মহিলা চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। অস্বাভাবিক মৃত্যুর ক্ষেত্রে, তার সহকর্মী ডাক্তারের দিকে আঙুল তোলা হয়েছিল। তবে পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করে সুইসাইড নোট ও অভিযোগের ভিত্তিতে আত্মহত্যার মামলা রুজু হয়।
অভিযুক্ত চিকিৎসক ব্যারাকপুর আর্মি হাসপাতালের উচ্চপদে কর্মরত। পুলিশ জানায়, মৃত প্রজ্ঞাদীপা হালদার (৩৭) বারাসত-১ ছোট জাগুলিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কর্মরত ছিলেন। পুলিশের তদন্তে জানা গেছে, মানসিক অবসাদে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তদন্তকারীদের মতে, বারাসতের দক্ষিণপাড়া শীতলতলা রোডের বাসিন্দা প্রজ্ঞাদীপার সঙ্গে সেনা চিকিৎসকের সম্পর্ক চার বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে শুরু হয়। তিনি ব্যারাকপুর সেনানিবাসের মিলিটারি ক্যান্টনমেন্টের ম্যান্ডেলা হাউসের বাসায় থাকতেন। সেখান থেকে তার দেহ উদ্ধার করা হয়।
No comments:
Post a Comment