নতুন প্রচেষ্টায় চোরাচালান, গ্যাস সিলিন্ডারে মাদক উদ্ধার বিএসএফের - Breaking Bangla |breakingbangla.com | Only breaking | Breaking Bengali News Portal From Kolkata |

Breaking

Post Top Ad

Tuesday, 4 July 2023

নতুন প্রচেষ্টায় চোরাচালান, গ্যাস সিলিন্ডারে মাদক উদ্ধার বিএসএফের

 



নতুন প্রচেষ্টায় চোরাচালান, গ্যাস সিলিন্ডারে মাদক উদ্ধার বিএসএফের 



নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা, ০৪ জুলাই : এক অনন্য উপায়ে মাদক চোরাচালানের চেষ্টা নস্যাৎ করেছে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা।  ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে মোতায়েন জওয়ানরা খবর পান যে চোরাচালানের একটি চালান সীমান্ত পার হতে চলেছে।  দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের অধীনস্থ বিএসএফ জওয়ানরা নিশ্চিত তথ্যের ভিত্তিতে এদেশ থেকে বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।


 প্রকৃতপক্ষে, বর্ডার পোস্ট পিপলি ০৫ কোরের বিএসএফ জওয়ানরা, নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে কাজ করে, একটি সন্দেহজনক ব্যক্তিকে ০২টি গ্যাস সিলিন্ডার এবং একটি গ্যাসের উনুন নিয়ে মোটরসাইকেলে চড়ে তেঁতুলবেড়িয়া বাজার থেকে প্রায় ১২:১০ টার সময় বিএসএফ চেকপোস্টের দিকে আসতে দেখেন।


 কর্তব্যরত জওয়ানরা তল্লাশির জন্য থামালে, সেহঠাৎ সুযোগ পেয়ে তার মোটরসাইকেলটি ফেলে তেঁতুলবেড়িয়া বাজারের দিকে ফিরে যায়।  এরপর জওয়ানরা মোটরসাইকেল ও গ্যাস সিলিন্ডারের পুঙ্খানুপুঙ্খ তল্লাশি চালায়।  তল্লাশির সময়, জওয়ানরা গ্যাস সিলিন্ডারে লুকিয়ে রাখা ৩০৭ বোতল ফেনসিডিল বাজেয়াপ্ত করে।


 অফিসার বলেন যে চোরাকারবারীরা দিনে দিনে চোরাচালানের নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করছে, কিন্তু সীমান্তে মোতায়েন সাহসী ও সাহসী বিএসএফ জওয়ানরা চোরাকারবারীদের পরিকল্পনা ভেস্তে দেয়।  বিএসএফ আধিকারিক জানান, ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্ত ৯১৩ কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত।  এর মধ্যে বিশাল এলাকা এমন যে সেখানে তারের বেড়া নেই।  এ অবস্থায় পাচারকারীরা সুযোগ নেয়।


 এছাড়া ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে প্রায় ৩৭২ কিলোমিটার সীমান্তে একটি নদী রয়েছে।  এই এলাকায় কোন তারের বেড়া নেই এবং এই এলাকাটি অত্যন্ত দুর্গম এবং অসুবিধায় পরিপূর্ণ।

 চোরাকারবারিরা স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে যোগসাজশ করে। চোরাকারবারিরা বেশিরভাগই এই পথগুলো অবলম্বন করে।  চোরাকারবারিরা স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে যোগসাজশ করে।  তারা চোরাচালানে স্থানীয়দের সহায়তা নেয়।  চোরাচালান করা জিনিস পৌঁছে দেওয়ার বদলে কিছু পরিমাণ টাকাও দেওয়া হয়।


 মুর্শিদাবাদ, মালদা, নদীয়া এবং উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় এরকম অনেক এলাকা রয়েছে।  সীমান্তে কোনো বেড়া নেই।  চোরাকারবারীরা এসব এলাকায় প্রচুর প্রবেশ করেছে এবং তারা প্রায়ই চোরাচালানের জন্য নতুন নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন করে চলেছে। দক্ষিণবঙ্গের এলাকায় এমন প্রায় ৬২টি গ্রাম রয়েছে, যেগুলো তারের বেড়ার ওপারে এবং ওই গ্রামে বসবাসকারী মানুষকে এদেশের নাগরিকত্বের সনদ দেখিয়ে প্রবেশ করতে হয়।  কখনও কখনও এই চোরাকারবারিরা তাদের সাহায্যও নেয়।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad