একজন ব্যক্তি কত একর কৃষি জমি কিনতে পারবেন?
ব্রেকিং বাংলা ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৫ জুলাই : যদি কৃষি জমি কেনার জন্য মূলধন বিনিয়োগ করেন, তাহলে কিছু সময়ের পরে খুব ভাল রিটার্ন পাবেন। সোনার পর আবাদি জমি ক্রয়-বিক্রয়ই একমাত্র ব্যবসা যেখানে টাকা লগ্নি করার পর কখনো লোকসান হয় না। সময়ের সাথে সাথে জমির দামও বাড়তে থাকে। বিশেষ বিষয় হলো সড়ক, মহাসড়ক, রেলস্টেশন ও বিমানবন্দরের কাছে জমি কিনলে লাভ বহুগুণ বেড়ে যায়। এসব জায়গায় জমির হার মাত্র কয়েক বছরে বহুগুণ বেড়ে যায়। কিন্তু অনেক জমি ক্রেতাকে রাজ্যে তৈরি আইনের সঙ্গে লড়াই করতে হয়।
প্রকৃতপক্ষে, সমস্ত রাজ্যের চাষযোগ্য জমি সংক্রান্ত বিভিন্ন আইন রয়েছে। এসব আইনের কারণে অনেক সময় ক্রেতাদের চরম বিপাকে পড়তে হয়। অনেক সময় বিষয়টি আদালত পর্যন্ত পৌঁছায়। এদেশে প্রায় ৬৬% সিভিল মোকদ্দমা জমি ও সম্পত্তির বিরোধ সম্পর্কিত। এর মধ্যে অনেক মামলাই ২০ বছরের বেশি সময় ধরে আদালতে বিচারাধীন। কিন্তু, কৃষি জমি কেনার জন্য একটি সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই নির্দিষ্ট সীমার বাইরে জমি কিনতে পারা যাবে না।
জমি কেনার জন্য বিভিন্ন রাজ্যের বিভিন্ন নিয়ম রয়েছে। বেশিরভাগ রাজ্য জমি কেনার উপর সীমা আরোপ করেছে। কিন্তু, অকৃষি জমি নিয়ে এমন কোনো আইন নেই। কেরালায় ভূমি সংশোধনী আইন ১৯৬৩-এর অধীনে একজন অবিবাহিত ব্যক্তি ৭.৫ একরের বেশি জমি কিনতে পারবেন না। আর ৫ সদস্যের একটি পরিবার শুধুমাত্র ১৫ একর পর্যন্ত জমি ক্রয় করতে পারে।
অন্যদিকে, মহারাষ্ট্রে চাষযোগ্য জমি সংক্রান্ত আলাদা আইন রয়েছে। যারা নিজেরা চাষাবাদ করেন তারাই এখানে চাষযোগ্য জমি কিনতে পারেন। অথবা তার আগে থেকেই কৃষি জমি আছে। এখানে ৫৪ একরের বেশি জমি কিনতে পারবেন না। বাংলায় কৃষি জমির জন্য সর্বোচ্চ ক্রয়ের সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৪.৫ একর। হিমাচল প্রদেশ জমি কেনার জন্য সর্বোচ্চ সীমা ৩২ একর নির্ধারণ করেছে, যখন কর্ণাটকে এই সীমা ৫৪ একর। বিশেষ ব্যাপার হল কর্ণাটকেও মহারাষ্ট্রের শাসন প্রযোজ্য।
দেশের বৃহত্তম রাজ্য উত্তর প্রদেশে ১২.৫ একরের বেশি চাষযোগ্য জমি কেউ কিনতে পারবে না। বিশেষ বিষয় হল গুজরাটে শুধুমাত্র কৃষকরাই কৃষি জমি কিনতে পারবেন। কোনও এনআরআই বা বিদেশী নাগরিকরা নয়।
No comments:
Post a Comment