হানিট্র্যাপের জালে ট্রাক চালকরা, ৪ দুষ্কৃতী গ্রেফতার
নিজস্ব সংবাদদাতা, বর্ধমান, ১৮ জুলাই : জাতীয় সড়কে হানিট্র্যাপে ফাঁসিয়ে লুটপাটকারী চক্রের ফাঁদে পড়ার অভিযোগ উঠেছে। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মহিলারা প্রথমে লরি চালকদের ফাঁদে ফেলে এবং তারপর তাদের সহযোগীরা সেই ট্রাক চালকদের ছিনতাই করে। এই অপরাধী চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় সড়ক ১৯ সহ বিভিন্ন হাইওয়েতে সক্রিয়। সোমবার বর্ধমানে এই গ্যাংকে ফাঁস করল পুলিশ। অভিযানের আগেই আগ্নেয়াস্ত্রসহ চার দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ।পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের নাম বাপন সরকার, সুজিত দাস, সুদীপ দাস ও সঞ্জু ঘোষ। তাদের বাড়ি বর্ধমান শহরের আশপাশের বেচারহাট, আমবাগান এলাকায়।
হানিট্র্যাপের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের পর বর্ধমান আদালতে পেশ করে পুলিশ। হানিট্র্যাপ মামলায় ধৃতদের চারদিনের পুলিশি হেফাজতে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বর্ধমান আদালত। ডিএসপি ট্রাফিক-২ রাকেশ কুমার চৌধুরী জানান, গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে একটি দেশীয় পাইপগান, ২ রাউন্ড গুলি, ভুজালি, দড়ি ও অন্যান্য জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। দুষ্কৃতী দলের বাকি সদস্যদের গ্রেফতার করে তল্লাশি চালানো হবে।
পুলিশ জানায়, গ্রেফতারকৃতদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র কোথা থেকে এসেছে তাও খোঁজার চেষ্টা করছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা আগেও বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত বলে পুলিশ জানতে পেরেছে।রাকেশ কুমার চৌধুরী জানান, মহাসড়কের পাশে অপরাধী চক্রের এক মহিলা দাঁড়িয়ে আছে। তারা মূলত বাইরে থেকে আসা লরি চালকদের টার্গেট করে। লরি চালককে ফাঁদে ফেলে, বাকি দুষ্কৃতীরা এসে অস্ত্রের মুখে লুটপাট চালায়।
তিনি বলেন, পুলিশের কাছে এ ধরনের হানিট্র্যাপের অভিযোগ আগেও এসেছে। এরপরই পুলিশ জাল বিছিয়ে দেয় এবং জাতীয় সড়কে সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
এ দিন পুলিশ খবর পায় যে এই দলটি বর্ধমানের উল্লাস এলাকায় ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে জড়ো হয়েছে। সেখানে অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করে তারা। কেউ কেউ পালিয়ে গেছে। গ্রেফতারকৃতরা অন্য কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে পুলিশের কাছে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, অন্যান্য রাজ্যের অপরাধীরাও এই দলে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যারা তাদের জানাত যে কোন ট্রাকের চালকদের কাছে কত টাকা আছে বা তাদের গাড়িতে কী কী পণ্য বোঝাই করা হয়েছে?
No comments:
Post a Comment