গর্ভাবস্থায় স্ট্রেস অনাগত শিশুর এভাবে ক্ষতি করতে পারে!
ব্রেকিং বাংলা হেলথ ডেস্ক, ২৩ জুলাই : গর্ভাবস্থা একজন মহিলার জীবনের একটি খুব সুন্দর মুহূর্ত। একজন মহিলার নতুন জীবন এখান থেকে শুরু হয়। যদিও এই যাত্রা এত সহজ নয়। যেখানে খুশি সেখানে মেজাজ পরিবর্তন হয়। এছাড়াও রয়েছে উত্তেজনা এবং স্ট্রেস। কিছু মহিলা একটু বেশি চাপে থাকেন। মানসিক চাপের কারণে ঘুমের সমস্যাও হতে পারে। অনেক গবেষক এই জটিল পর্যায়ে বিকাশমান শিশুর উপর মায়ের চাপের প্রভাব সম্পর্কে ক্রমবর্ধমান আলোকপাত করেছেন। চলুন জেনে নেই অনাগত সন্তানের উপর মানসিক চাপের ক্ষতিকর প্রভাব-
গর্ভাবস্থায় মানসিক চাপের কারণে সমস্যা:
প্রিম্যাচিউর ডেলিভারি :
মায়ের মানসিক চাপের কারণে শিশুর অকাল প্রসব হতে পারে। অকাল প্রসবের ফলে শিশুর জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে, যেমন রেসপিরেটরি সিন্ড্রোম, জন্ডিস এবং সেপসিস, শিশুর দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য সমস্যাগুলির ঝুঁকি রয়েছে যার মধ্যে বিলম্বিত বৃদ্ধি, শ্রবণশক্তি এবং দৃষ্টি সমস্যা রয়েছে।
শিশুর ওজন কম :
মায়েদের মানসিক চাপ শিশুর ওজন কম হতে পারে।গর্ভাবস্থায় মানসিক চাপ কম ওজনের একটি প্রধান কারণ। কম জন্মের ওজন বিকাশে বিলম্ব, জন্মের সময় জটিলতা এবং ভবিষ্যতে স্বাস্থ্য সমস্যার সম্ভাবনা বাড়ায়। গবেষণায় দেখা গেছে যে কম ওজনের শিশুরা টাইপ ২ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে।
মস্তিষ্কের বিকাশ প্রভাবিত হয়:
গর্ভাবস্থায় স্ট্রেস ভ্রূণের বিকাশমান মস্তিষ্ককেও প্রভাবিত করতে পারে। বিকাশমান মস্তিষ্ক স্ট্রেস হরমোনের প্রতি অত্যন্ত সংবেদনশীল, এবং উচ্চ মাত্রার কর্টিসলের সংস্পর্শে মস্তিষ্কের গঠন এবং কার্যকারিতা প্রভাবিত করতে পারে। এটি আচরণগত সমস্যা, শেখার অসুবিধা এবং মানসিক সমস্যা হতে পারে। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে গর্ভাবস্থার প্রথম ত্রৈমাসিকে মায়েদের চাপ পরবর্তী জীবনে সন্তানের আইকিউ-এর উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
কীভাবে চাপ কমানো যাবে:
গর্ভবতী মায়েদের জন্য তাদের অনাগত সন্তানের ক্ষতির ঝুঁকি কমাতে তাদের মানসিক চাপের মাত্রা পরিচালনা করা গুরুত্বপূর্ণ। মহিলারা ব্যায়াম, ধ্যান, যোগব্যায়াম এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়ামের মাধ্যমে এটি কমাতে পারেন।
No comments:
Post a Comment