রাজস্থানের লিডার কে হতে চলেছেন?
ব্রেকিং বাংলা ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৬ জুলাই : কংগ্রেস আজ শচীন পাইলট নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারে। আজ রাজস্থান নিয়ে কংগ্রেসের বড়সড় বৈঠক হতে চলেছে। জয়পুর থেকে কার্যত যোগ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। সূত্র বলছে, এই বৈঠকের পর বড় দায়িত্ব পেতে পারেন শচীন পাইলট।
নিজের সরকারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা শচীন পাইলট কংগ্রেসে কী পেতে চলেছেন তা ঠিক হতে চলেছে। শচীন পাইলট, যিনি বিদ্রোহকে সরকারের অস্ত্র বানিয়েছিলেন, তিনি রাজ্য রাজনীতি করবেন বা কংগ্রেসে জাতীয় নেতা হবেন।
এই বৈঠকে কার্যত উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। এই বৈঠকে রাহুল গান্ধী এবং মল্লিকার্জুন খাড়গে উপস্থিত থাকবেন বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্রের বিশ্বাস, শচীন পাইলটের ভবিষ্যৎ নিয়ে দল সিদ্ধান্ত নিতে পারে। কর্ণাটকে কংগ্রেসের জয়ের পর দলের নেতৃত্বের মনোবল তুঙ্গে। আর তাই নেতৃত্ব কোনো চাপ ছাড়াই সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রশ্ন হল, কংগ্রেসে এগোতে গিয়ে পাইলটের ভূমিকা কী হবে?
বেশিরভাগ বিধায়ক জয়ী হওয়ার পরে এই জাতগুলি থেকে এসেছেন এবং এই জাতিদের তাদের নিজ নিজ এলাকায় জয় এবং হারানোর ক্ষমতা রয়েছে। শচীন পাইলট গুর্জার সম্প্রদায় থেকে এসেছেন।
২০১৮ সালের নির্বাচনে রাজস্থানে কংগ্রেস যখন জিতেছিল তখন শচীন পাইলট রাজ্য সভাপতি ছিলেন। আশা করা হয়েছিল যে দল তাকে মুখ্যমন্ত্রী করবে কিন্তু দল অশোক গেহলটকে মুখ্যমন্ত্রী করে এবং পাইলট ডেপুটি মুখ্যমন্ত্রী হন। ২০২০ সালে, শচীন পাইলট বিদ্রোহ করার চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু ব্যর্থ হন।
এর পরে, তিনি রাজ্যের ক্ষমতার করিডোরে প্রান্তিক হয়ে গেলেও এখন নির্বাচনের কাউন্টডাউন শুরু হতে চলেছে, তাই শচীন পাইলটকে বড় দায়িত্ব দিয়ে রাজ্যের রাজনীতিকে সরল রাখতে চায় দলীয় নেতৃত্ব। রাজস্থান থেকে দিল্লি পর্যন্ত রাজনৈতিক মহলে আলোচনা অনুসারে, কংগ্রেস নেতৃত্ব শচীন পাইলটকে রাজ্যে প্রচার কমিটির প্রধান করতে পারে। সূত্র জানায়, দ্বিতীয় আলোচনাও কেন্দ্রীয় সংগঠনে সাধারণ সম্পাদক করা নিয়ে।
দলের সিদ্ধান্ত শচীন পাইলট এবং অশোক গেহলট গ্রহণযোগ্য হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রাজনৈতিকভাবে দুজনই একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছেন। রাজস্থানের রাজনীতিতে দলের ভবিষ্যৎ কী হবে তাও ঠিক করবে নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত।
No comments:
Post a Comment