জ্বরের প্রোফাইল টেস্ট করা হয় এই কারণে
ব্রেকিং বাংলা হেলথ ডেস্ক, ২৫ জুলাই : ডাক্তাররা বিভিন্ন রোগ শনাক্ত করার জন্য পরীক্ষা করে থাকেন। এটি এক্স-রে, আল্ট্রাসাউন্ড, সিটি স্ক্যান ইত্যাদি হতে পারে। এরকম একটি পরীক্ষা হল জ্বর প্রোফাইল পরীক্ষা। আসলে, যখন দীর্ঘদিন ধরে জ্বর থাকে এবং ওষুধ খাওয়ার পরেও জ্বর না সারে , তখন চিকিৎসকরা জ্বরের কারণ জানার জন্য ফিভার প্রোফাইল টেস্টের পরামর্শ দেন। আসুন জেনে নেই ফিভার প্রোফাইল টেস্ট কী-
জ্বর প্রোফাইল টেস্ট :
যদি দীর্ঘদিন ধরে বারবার জ্বর হয়, তাহলে তার কারণ পরীক্ষা করার জন্য জ্বরের প্রোফাইল টেস্ট করা হয়, যার ফলাফলের ভিত্তিতে ডাক্তার চিকিৎসা করেন। এই প্রোফাইল পরীক্ষা বলে যে জ্বর ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাল বা অটোইমিউন ডিসঅর্ডার কিনা? এমতাবস্থায় তাদের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী পরীক্ষা করাতে পরামর্শ দেন চিকিৎসক।
জ্বর প্রোফাইল টেস্টে কী আসে:
CBC:
লোহিত রক্ত কণিকা এবং সাদা রক্ত কণিকা সহ প্লেটলেটগুলি সম্পূর্ণ রক্ত গণনা পরীক্ষায় গণনা করা হয়। এর মাধ্যমে সংক্রমণের তথ্য পাওয়া যায়। ডেঙ্গু বা চিকুনগুনিয়ার কারণে অনেক সময় প্লেটলেটের সংখ্যা কমে যায়। রক্তের অভাবে অর্থাৎ রক্তশূন্যতার কারণেও অনেক সময় জ্বর হয়। এর ভিত্তিতে চিকিৎসা করা হয়।
SGPT :
রক্তের প্রবাহে ব্যাকটেরিয়া বা অন্য কোন অণুজীব আছে কিনা তা সনাক্ত করতে সাহায্য করে। এই পরীক্ষাটি ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ নির্ণয় করতে সাহায্য করতে পারে, যা জ্বরের কারণ হতে পারে।
প্রস্রাব পরীক্ষা:
এতে প্রস্রাব পরীক্ষা করা হয়। এতে ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি বা কোনো ধরনের সংক্রমণের মতো কোনো ধরনের ঝামেলা ধরা পড়ে। যা জ্বরের কারণ হতে পারে।
সেরোলজি পরীক্ষা:
সেরোলজি পরীক্ষা রক্তে অ্যান্টিবডিগুলির উপস্থিতি পরীক্ষা করে। এই পরীক্ষাগুলি নির্ধারণ করতে পারে যে নির্দিষ্ট কিছু সংক্রমণ যেমন ডেঙ্গু, টাইফয়েড ম্যালেরিয়ার সংস্পর্শে এসেছেন যা জ্বরের কারণ হতে পারে।
No comments:
Post a Comment