মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে! দাবি বিশেষজ্ঞদের
ব্রেকিং বাংলা ন্যাশনাল ডেস্ক, ১৪ জুলাই : বুধবার কেন্দ্রীয় সরকার জুন মাসের খুচরো মূল্যস্ফীতির তথ্য প্রকাশ করেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, জুন মাসে খুচরো মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৪.৮১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা মে মাসে ৪.২৫ শতাংশ ছিল। আর তাই অর্থনীতিবিদরা বলছেন, আগামী দিনে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়তে চলেছে। ডাল, সবজি ও নিত্যদিনের জিনিসপত্রের দাম অনেক বেড়ে যাবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, জুলাই মাসে টমেটো, ধনে, ভেন্ডি, লাউসহ সব সবুজ সবজির দাম বাড়বে। এগুলোর দাম ব্যাপক বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী দিনে কিছু রাজ্যে প্রচুর বৃষ্টিপাত হবে, তারপর কিছু রাজ্যে খরার মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। এর সরাসরি প্রভাব পড়বে ফসলের উৎপাদনে। বিশেষ করে অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে উদ্যান ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। এতে টমেটো, বেগুন, ভেন্ডি, লাউ, করলা, ক্যাপসিকাম, কাঁচা লঙ্কা , ধনেপাতা, পটল সহ অনেক সবুজ সবজির উৎপাদন কমে যাবে। বাজারে এসব সবজির ঘাটতি থাকায় এগুলোর দাম আকাশ ছুঁয়ে যাবে।
ব্রোকারেজ ফার্ম বার্কলেসের এমডি এবং অর্থনীতিবিদ রাহুল বাজোরিয়া ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে এল নিনোর অবস্থা বজায় থাকলে এ বছর জুলাই মাসে দাম আবার বাড়তে পারে। তবে ঘর, কাপড় ও জুতোর মূল্যস্ফীতির হার স্থিতিশীল থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান তিনি। এ ছাড়া স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে মূল্যস্ফীতির কোনো প্রভাব পড়বে না। বিশেষ বিষয় হল বাজোরিয়া মে মাসে খুচরা মূল্যস্ফীতির হার ৪.৩৪ শতাংশ অনুমান করেছিলেন, যা ৪.২৫ এর খুব কাছাকাছি।
উল্লেখ্য, গত এক মাসে দেশে টমেটোর দাম ৩২৬ শতাংশ বেড়েছে। জুনের প্রথম সপ্তাহে এক কেজি টমেটোর দাম ছিল ১৫ থেকে ২০ টাকা, এখন তা বেড়ে হয়েছে আড়াইশ টাকা। দেশে বর্ষা মৌসুম এভাবে চলতে থাকলে এর দাম আরও বাড়তে পারে। একইভাবে পেঁয়াজের দামও বেড়েছে। এক মাস আগে পর্যন্ত যে পেঁয়াজ কেজি ২০ টাকায় বিক্রি হত, এখন তা বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজিতে। বিশেষ বিষয় হল, ডালও মূল্যস্ফীতির প্রভাবে পড়েছে। ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া অড়হর ডাল এখন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাইকারি দামে বিউলির ডালের দাম ১৫ থেকে ২০ শতাংশ বেড়েছে।
বৃষ্টি ও বন্যা অব্যাহত থাকলে বিহার, উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা ও পাঞ্জাব সহ অনেক রাজ্যে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হবে। এতে এসব রাজ্যে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে। বিশেষ বিষয় হল এল নিনোর পরিস্থিতি প্রবল হলে খরিফ ফসল নষ্ট হয়ে যাবে। দুটি পরিস্থিতিতেই আবহাওয়া ও মূল্যস্ফীতি এখানকার মানুষের ওপর প্রভাব ফেলবে।
No comments:
Post a Comment