কয়েন নিয়ে মজার তথ্য! - Breaking Bangla |breakingbangla.com | Only breaking | Breaking Bengali News Portal From Kolkata |

Breaking

Post Top Ad

Tuesday, 18 July 2023

কয়েন নিয়ে মজার তথ্য!



কয়েন নিয়ে মজার তথ্য!



ব্রেকিং বাংলা ন্যাশনাল ডেস্ক, ১৮ জুলাই : আরবিআই হল আমাদের দেশের প্রধান আর্থিক প্রতিষ্ঠান যা নতুন মুদ্রার নোট ছাপিয়ে সারা দেশে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির মাধ্যমে বিতরণ করে।  মুদ্রা প্রাচীনকাল থেকে মুদ্রা হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে এবং আজ পর্যন্ত তা অব্যাহত রয়েছে।  এদেশের মুদ্রায় রয়েছে কাগজের নোট এবং কয়েন।  আমরা জানি যে আগের তুলনায় এখন কয়েনের আকার কমে গেছে।  আসুন জেনে নেই এর পেছনের কারণ -


  চারটি স্থানে মুদ্রা তৈরি :


 যে জায়গায় মুদ্রা তৈরি হয়, সেই কারখানার নাম মিন্ট।  আমাদের দেশে চারটি টাকশাল আছে।  প্রতিটি টাকশালে তৈরি মুদ্রার উপর সেই টাকশালের একটি বিশেষ চিহ্ন তৈরি করা হয়, যা থেকে বোঝা যায় যে মুদ্রাটি কোথায় তৈরি করা হয়েছে।


 মুদ্রায় চিহ্ন:


 যদি মুদ্রায় তারিখের নিচে 'স্টার' চিহ্ন থাকে, তাহলে এর অর্থ হল মুদ্রাটি হায়দ্রাবাদে তৈরি করা হযয়েছে।  নয়ডায় তৈরি করা কয়েনের বিপরীতে একটি 'সলিড ডট' রয়েছে, অন্যদিকে মুম্বাইয়ের কয়েনে 'হীরার আকৃতি' চিহ্ন রয়েছে এবং কলকাতার মুদ্রায় কোনো চিহ্ন নেই।


কয়েনের আকার ছোট হচ্ছে কেন:


 বর্তমানে সরকার কয়েনের আকার কমিয়েছে এবং ব্যবহৃত ধাতবও পরিবর্তন করছে।  এখন পর্যন্ত 'কুপ্রো নিকেল' থেকে কয়েন তৈরি করা হলেও ২০০২ সালের পর কপার নিকেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় কয়েন তৈরির খরচও বেড়ে যায়।  তাই সরকারকে "ফেরিটিক স্টেইনলেস স্টিল" ব্যবহার করে মুদ্রা তৈরিতে মনোযোগ দিতে হয়েছে।  বর্তমানে এই স্টিল থেকে কয়েন তৈরি হচ্ছে।  "ফেরিটিক স্টেইনলেস স্টিল" খাদটিতে ১৭% ক্রোমিয়াম এবং ৮৩% লোহার মিশ্রণ রয়েছে।


 মুদ্রার দুটি মান আছে:


 মুদ্রার আকার কমানোর প্রধান কারণ এর মূল্যের সাথে সম্পর্কিত।  একটি মুদ্রার দুটি মান রয়েছে - একটি মুদ্রার "ফেস ভ্যালু" এবং অন্যটি এর "ধাতব মান"।


 একটি মুদ্রার "ফেস ভ্যালু" কী:


 একটি মুদ্রার অভিহিত মূল্য হল মুদ্রায় লেখা পরিমাণ।  মুদ্রার উপর যদি ১ টাকা লেখা থাকে, তাহলে তাকে তার অভিহিত মূল্য বলে।


 একটি মুদ্রার "ধাতু মান" কত:


 একটি মুদ্রার ধাতব মান হল সেই মান যা মুদ্রা তৈরিতে ব্যবহৃত ধাতুকে দায়ী করা হয়।  যদি একটি কয়েন গলিয়ে তার ধাতুটি ৫ টাকায় বাজারে বিক্রি করা হয়, তাহলে ৫ টাকার মুদ্রার ধাতব মূল্য বলা হবে।


 উদাহরণস্বরূপ, একটি মুদ্রার অভিহিত মূল্য এক টাকা, কিন্তু এর ধাতব মূল্য দুটাকা।  এক্ষেত্রে একজন ব্যক্তি ধাতু পিষে বাজারে দুই টাকায় বিক্রি করতে পারেন।  তবে এটি বড় পরিসরে হলে বাজারে কয়েনের ঘাটতি দেখা দেবে, যা সরকারের জন্য সমস্যা তৈরি করতে পারে।


অন্যদিকে, যদি একটি মুদ্রার অভিহিত মূল্য দু টাকা হয় কিন্তু এর ধাতুর মূল্য এক টাকা হয়, তাহলে সেই মুদ্রাটি ধাতুতে গলে একজন ব্যক্তি এক টাকা খোয়াবেন।  সে কারণেই সরকার কয়েনের আকার কমায়।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad