এই গাছের ছালে রয়েছে গুনের ভান্ডার
ব্রেকিং বাংলা হেলথ ডেস্ক, ০৬ জুলাই :অর্জুন গাছের ঔষধিগুণ সম্পর্কে খুব কম লোকই জানেন। অর্জুন গাছের ছাল একটি আয়ুর্বেদিক ঔষধ হিসাবে বিবেচিত হয়। বহু শতাব্দী ধরে এটি বহু রোগ নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। অর্জুনের ছালের জলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। এই কারণেই এটি অত্যন্ত উপকারী বলে মনে করা হয়। এটি মাত্র এক চিমটে ইনফেকশন, গলা ব্যথা, সর্দি এবং ফ্লুর মতো সমস্যা দূর করতে পারে। আসুন জেনে নেই এর অসাধারণ উপকারিতা-
ডায়াবেটিস:
অর্জুনের ছাল ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করা হয়। এতে পাওয়া কিছু বিশেষ এনজাইম এবং অ্যান্টিডায়াবেটিক বৈশিষ্ট্য কিডনি ও লিভারের ক্ষমতা বাড়িয়ে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের অর্জুনের ছালের জল পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
হৃদরোগ:
অর্জুনের ছাল হার্ট সংক্রান্ত রোগ কমাতে এবং এর কার্যক্ষমতা বাড়াতে উপকারী। ইঁদুরের উপর ভিত্তি করে NCBI-এর একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে অর্জুনের ছালে ট্রাইটারপেনয়েড নামে একটি বিশেষ রাসায়নিক রয়েছে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারে।
সর্দি এবং কাশি:
সর্দি-কাশির সমস্যা দূর করতে অর্জুনের ছাল দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে। এই ছালের জল জমাট বাঁধা থেকে মুক্তি দেয় এবং ফুসফুসের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে সুস্থ করে তোলে।
শ্বাসকষ্টজনিত রোগ :
আয়ুর্বেদে, অর্জুনের ছালের জল শ্বাসযন্ত্রের রোগের জন্য অত্যন্ত কার্যকর বলে বিবেচিত হয়েছে। বলা হয় যে এটি হাঁপানির মতো শ্বাসকষ্টজনিত রোগ থেকে মুক্তি দিতে দারুণ কাজে আসতে পারে।
উচ্চ রক্তচাপ:
অর্জুনের ছালে ট্রাইটারপেনয়েড রাসায়নিক পাওয়া যায়, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এটিতে অ্যান্টিহাইপারটেনসিভ বৈশিষ্ট্যও রয়েছে, যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।
হজম:
হজমশক্তি বাড়াতে হলে অর্জুনের ছালের জল পান করতে হবে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য এবং গ্যাস্ট্রিক আলসারের মতো সমস্যা কমাতে কাজ করে। এর ব্যবহারে হজমশক্তি শক্তিশালী হয়।
No comments:
Post a Comment