বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার, এই রুটি খেলে উপকার পাবেন ডায়াবেটিস রোগীরা
ব্রেকিং বাংলা ন্যাশনাল ডেস্ক, ১৩ জুলাই : ডায়াবেটিস রোগীদের এখন আর খাবার-দাবার নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। পাঞ্জাব এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটি এমন একটি গমের জাত উদ্ভাবন করেছে, যার আটা খেলে ডায়াবেটিস রোগীরা অনেক উপকার পাবেন। বিশেষ বিষয় হল এই ধরনের গমের আটা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ওষুধ হিসেবে কাজ করবে। এর পাশাপাশি হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীরাও অনেক উপকৃত হবেন। দেশে বর্তমানে ১৩ লাখের বেশি লোক ডায়াবেটিক রোগী। এমতাবস্থায় গমের এই জাতটি এই রোগীদের জন্য ওষুধ হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাঞ্জাব এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটি দ্বারা উদ্ভাবিত গমের জাতটির নাম পিডব্লিউ আরএস ১। এটি সেবন করলে, রক্ত সঞ্চালনের সময় শরীরে ধীরে ধীরে গ্লুকোজ তৈরি হবে। এর পাশাপাশি হজমও হবে ধীরে। এভাবে চিনি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এই গমের সবচেয়ে বড় বিশেষত্ব হল কম খেলেই পেট ভরবে এবং বেশিক্ষণ ক্ষিদে লাগবে না। যে ব্যক্তি ৬টি রুটি খাবে, তার পেট ভরবে মাত্র ৩টি রুটিতেই। এভাবে রুটি কম খেলে ওজনও কমবে।
এই জাত সম্পর্কে তথ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গম প্রজননবিদ অচলা শর্মা বলেন, এই গম একটি নতুন জাত। এর চাষে শুধু কৃষকদের আয়ই বাড়বে না, সেই সঙ্গে ডায়াবেটিস রোগীরাও অনেক উপকার পাবেন। তিনি বলেন যে PW RS ১-এ মোট স্টার্চের পরিমাণ অন্যান্য জাতের গমের তুলনায় ৬৬-৭০ শতাংশের সমান। কিন্তু এতে ৩০.৩ শতাংশ প্রতিরোধী স্টার্চ উপাদান রয়েছে।
গত মাসেও এদেশের কৃষি গবেষণা পরিষদ এই ধরনের তিনটি গমের জাত তৈরি করেছিল, যা গ্রীষ্মের মরসুমের আগমনের আগেই পাকবে। অর্থাৎ মার্চ মাস থেকেই কৃষক ভাইয়েরা ফসল কাটা শুরু করতে পারবেন। অর্থাৎ শীতের শেষ নাগাদ ফসল পুরোপুরি তৈরি হয়ে যাবে এবং হোলির আগেই তা কাটা যাবে। বিজ্ঞানীরা বীট-দ্য-হিট দ্রবণে গম বপন করার জন্য এই জাতের গমের উদ্ভাবন করেছেন। এ ধরনের কৃষক ভাইয়েরা সাধারণত নভেম্বর মাস থেকে গম বপন করলেও ২০ অক্টোবর থেকে এই জাতের চাষ শুরু করা যায়। এই তিনটি জাতের মধ্যে প্রথম জাতের নাম HDCSW-১৮।
No comments:
Post a Comment