পৃথিবীর এক অজানা কাহিনী ফাঁস করলেন গবেষকরা - Breaking Bangla |breakingbangla.com | Only breaking | Breaking Bengali News Portal From Kolkata |

Breaking

Post Top Ad

Friday, 7 July 2023

পৃথিবীর এক অজানা কাহিনী ফাঁস করলেন গবেষকরা

 




পৃথিবীর এক অজানা কাহিনী ফাঁস করলেন গবেষকরা



ব্রেকিং বাংলা ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ০৭ জুলাই : ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির গবেষকরা সাম্প্রতিক গবেষণায় বেশ কয়েকটি দাবি করেছেন, পৃথিবীতে জল কোথা থেকে এসেছে সেই রহস্যের সমাধান করেছেন। চলুন জেনে নেই তাঁরা কী বলছেন-


 পৃথিবীর ৭১ শতাংশ জল দিয়ে ঘেরা, এখান থেকেই প্রশ্ন ওঠে পৃথিবীতে এত জল কোথা থেকে এলো?  গত কয়েক বছরে বিজ্ঞানীরা এর অনেক কারণ দিয়েছেন।  একটি তত্ত্ব বলে যে জল পৃথিবীতে পৌঁছেছিল গ্রহাণুর মাধ্যমে অর্থাৎ সৌরজগত থেকে আসা গ্রহাণুগুলির মাধ্যমে।  এখন বিজ্ঞানীরা তাদের সাম্প্রতিক গবেষণায় একটি নতুন তথ্য দিয়েছেন।  


পৃথিবীর জলের রহস্য সমাধান করতে গিয়ে গবেষণায় অনেক দাবি করেছেন ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির গবেষকরা।  বিজ্ঞানীরা বলছেন, পৃথিবীর সৃষ্টি হয়েছে শুকনো পাথর থেকে।  এটি ইঙ্গিত দেয় যে গ্রহগুলির গঠনের পরে পৃথিবীতে জল পৌঁছেছিল।  গবেষকদের দাবি, গবেষণার ফলাফল পৃথিবী সৃষ্টি সংক্রান্ত রহস্য সমাধানে কাজ করবে। 


পৃথিবী গঠিত হয়েছিল ৪.৫ বিলিয়ন বছর আগে।  বিজ্ঞানীরা এখন বোঝার চেষ্টা করছেন কীভাবে এই গ্রহটি তৈরি হয়েছিল?  গবেষকরা পৃথিবীর গভীরে পাওয়া ম্যাগমা পরীক্ষা করে বের করবেন।  পৃথিবীতে পাওয়া পুরনো তরলকে ম্যাগমা বলা হয়।  শিলাগুলির তাপমাত্রা ৭০০ থেকে ১৩০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছলে এটি তৈরি হয়।  আগ্নেয়গিরির মতো।  এর মাধ্যমেই ম্যাগমা লাভা আকারে বেরিয়ে আসে।  


 এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে লাভায় বিদ্যমান পুরনো ম্যাগমা পৃথিবী সম্পর্কে অনেক মজার কথা বলে।  প্রকৃতপক্ষে, পৃথিবীর গভীরতা অনেক অংশে বিভক্ত।  এতে ১৫ কিলোমিটার গভীরতাকে বলা হয় আপার ম্যান্টেল।  যেখানে, ৬৮০ কিলোমিটার স্তরটিকে নিম্ন আবরণ বলা হয়।  এভাবে এর বিভিন্ন ম্যান্টেল অর্থাৎ স্তরের নমুনা দিয়ে পৃথিবীর উৎপত্তি সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়। 


 গবেষকরা মনে করেন পৃথিবী হঠাৎ করে তৈরি হয়নি।  ধীরে ধীরে, সময়ের সাথে সাথে উপকরণ যুক্ত হওয়ার সাথে সাথে এটি নির্মিত হয়েছিল।  এই কারণেই পৃথিবীর সর্বনিম্ন পৃষ্ঠ অর্থাৎ নীচের আবরণ এবং উপরের পৃষ্ঠ থেকে অনেক তথ্য পাওয়া যায়।  গবেষক ডঃ ফ্রাঁসোয়া টিসোট বলেন, মহাকাশ বোঝা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ জলই বলে যে যেখানে জল আছে সেখানেই জীবন আছে। 

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad