জীবন যেভাবে বদলালো এই কৃষকের
ব্রেকিং বাংলা ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৭ জুলাই : আমরা মনে করি চাষাবাদ করে তেমন লাভ নেই, কিন্তু ব্যাপারটা সেরকম নয়। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কৃষিকাজ করা হলে কৃষকও কোটি টাকা আয় করতে পারে। এর জন্য শুধু কঠোর পরিশ্রম ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে হবে। ছত্তিশগড়ের এক কৃষক এমনই কিছু করেছেন। ছত্তিশগড়ের এই কৃষক চাষ করে বছরে আয় করছেন লক্ষাধিক নয়, কোটি টাকা। এই কৃষকের সবচেয়ে দামি যানবাহন রয়েছে এবং তিনি এখন একটি হেলিকপ্টার কিনবেন।
তথ্যমতে, কৃষকের নাম রাজারাম ত্রিপাঠি। তিনি তার পরিবারের সাথে বস্তার জেলায় থাকেন। নকশাল প্রভাবিত এই এলাকার কৃষকদের কাছে তিনি উদাহরণ হয়ে উঠেছেন। তিনি জমিতে গোল মরিচ ও সাদা মুসলি চাষ করছেন। বিশেষ বিষয় হল এখন ৭ কোটি টাকায় একটি হেলিকপ্টার কেনার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তারা হেলিকপ্টার থেকে তাদের ফসল দেখভাল করবে।
এমনই রাজারাম ত্রিপাঠী মূলত উত্তরপ্রদেশের প্রতাপগড়ের বাসিন্দা। তবে গত কয়েক বছর ধরে তার পরিবার ছত্তিশগড়ের বস্তার জেলায় বসবাস করছে। তিনি কৃষিকাজের জন্য অনেক পুরস্কারও পেয়েছেন। রাজারাম কোন্ডাগাঁও এবং জগদলপুর জেলায় কালো মরিচ, সাদা মুসলি এবং স্ট্রোভিয়া চাষ করছেন।
বিশেষ ব্যাপার হল রাজারাম ত্রিপাঠীর হেলিকপ্টার কেনার জন্য একটি ডাচ কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিও হয়েছে। তিনি R৪৪ মডেলের একটি ৪ আসনের হেলিকপ্টার কিনছেন। তারা এটি দিয়ে তাদের ফসল পরিদর্শন করবে এবং সময়ে সময়ে ওষুধ স্প্রে করবে। রাজারাম ত্রিপাঠী বর্তমানে কৃষকদের একটি দল গঠন করে ১০০০ একর জমিতে চাষ করছেন। তাদের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে প্রায় ৪০০ আদিবাসী কৃষক পরিবার। এমনই রাজারাম ত্রিপাঠীর মা দন্তেশ্বরী একটি হারবাল গ্রুপের সিইও। তার বার্ষিক আয় ২৫ কোটি টাকা। দান্তেশ্বরীর হারবাল গ্রুপ আমেরিকা ও ইউরোপে গোল মরিচ সরবরাহ করে। এ কারণেই গোল মরিচ চাষ করছেন রাজারাম ত্রিপাঠী। তাদের উৎপাদিত ফসল বিদেশে ভালো দামে বিক্রি হয়।
No comments:
Post a Comment