চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা কেন্দ্রীয় সরকারের
ব্রেকিং বাংলা ন্যাশনাল ডেস্ক, ২১ জুলাই : নন-বাসমতি চাল রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে অনেক দেশেই চালের সংকট দেখা দেবে। বিশেষ করে যেসব দেশে চালের জন্য সরাসরি ভারতের ওপর নির্ভরশীল। তা সত্ত্বেও, এদেশ বিশ্বের বৃহত্তম চাল রপ্তানিকারক দেশ। এখান থেকে ইউরোপ, আমেরিকা ও আফ্রিকার পাশাপাশি এশিয়া মহাদেশসহ অনেক দেশে চাল রপ্তানি হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে খাদ্যদ্রব্যের ক্রমবর্ধমান দাম ঠেকাতে নন-বাসমতি চাল রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিশেষ বিষয় হল এদেশের লোকেরা নন-বাসমতি চাল সবচেয়ে বেশি খায়। নন-বাসমতি চাল রপ্তানি অব্যাহত থাকলে এর দাম বাড়তে পারত। এমতাবস্থায় সাধারণ মানুষের কাছে চাল পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ত। এই কারণেই কয়েক দিনের জন্য নন-বাসমতি চাল নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
বেশিরভাগ নন-বাসমতি চাল এদেশ থেকে নেপাল, ক্যামেরুন, ফিলিপাইন এবং চীন সহ অনেক দেশে রপ্তানি করা হয়। এই নিষেধাজ্ঞা দীর্ঘ দিন স্থায়ী হলে এসব দেশে চালের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে নেপাল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কারণ নেপাল প্রতিবেশী দেশ। এটি বিহার এবং উত্তর প্রদেশের সাথে তার সীমানা ভাগ করে। কম দূরত্বের কারণে নেপালে পরিবহনে কম খরচ করতে হয়। তিনি যদি অন্য দেশ থেকে চাল কেনেন, তাহলে তাকে রপ্তানিতে বেশি খরচ করতে হবে। এ কারণে নেপালে পৌঁছলে চালের দাম বাড়বে, যার কারণে মূল্যস্ফীতিও বাড়তে পারে।
বলা হচ্ছে, নন-বাসমতি চালের ওপর নিষেধাজ্ঞার কারণে এদেশ থেকে রপ্তানি হওয়া চালের প্রায় ৮০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে খুচরো বাজারে চালের দাম কমতে পারে। একই সময়ে, অন্যান্য দেশে দাম বাড়বে। এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বের প্রায় অর্ধেক মানুষের খাদ্য ভাত। অর্থাৎ তারা কোনো না কোনোভাবে ভাত খেয়েই পেট ভরে। এমতাবস্থায় এসব মানুষের জন্য চিন্তার বিষয়। উল্লেখ্য, গত বছর ভাঙ্গা চাল আমদানি নিষিদ্ধ করেছিল আমাদের দেশ।
No comments:
Post a Comment