বিদেশে করা হবে এই ডালের চাষ
ব্রেকিং বাংলা ন্যাশনাল ডেস্ক, ১৫ জুলাই : মাখনে ডুবোনো 'ডাল তড়কা' আর সকালের জলখাবারে 'সম্ভার'-এর সঙ্গে ইডলি, কার না ভাল লাগে? এখন এই 'ডাল তড়কা' আর 'সম্ভার' অস্ট্রেলিয়া ও ব্রাজিলের স্বাদে রঙিন হতে চলেছে এদেশে।
'ডাল তড়কা' এবং 'সম্ভার' এর সাধারণ জিনিস হল কাবুলি ছোলা। এদেশে চাহিদার তুলনায় অড়হর ডালের উৎপাদন খুবই কম। এ কারণে আমাদের দেশকে মায়ানমার ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর ফসলের ওপর নির্ভর করতে হয়। কিন্তু এখন এদেশে অড়হর ডালের এত বড় বাজার দেখে অস্ট্রেলিয়া ও ব্রাজিল অড়হর ডালের উৎপাদন করতে যাচ্ছে।
সম্প্রতি এদেশের খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আধিকারিক, ডাল ও শস্য সমিতির (আইপিজিএ) প্রতিনিধি এবং অস্ট্রেলিয়ার কৃষিমন্ত্রী মারে ওয়াটের মধ্যে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, আইপিজিএ অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডে অড়হর ডাল চাষে সাহায্য করবে বলে প্রায় একমত। অস্ট্রেলিয়ার ডাল ব্যবসায়ী সমিতির মাধ্যমে এই কাজ করা হবে।
আইপিজিএ কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য সতীশ উপাধ্যায় বলেছেন যে ২০১৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার অভ্যন্তরে অড়হর ডাল চাষ করা হয়েছিল। সেই অড়হরের মানও ভালো ছিল, যদিও পরে বেশি কাজ এগোতে পারেনি।
তবে এখন এটি অস্ট্রেলিয়ার জন্য একটি লাভজনক চুক্তি হতে পারে, কারণ ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি রয়েছে। দ্বিতীয়ত, এদেশে এখন অস্ট্রেলিয়া থেকে কাবুলি ছোলা আমদানি পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে। অস্ট্রেলিয়া বড় পরিসরে এই কাবুলি ছোলার চাষ করতে পারে। এতে আমাদের দেশও লাভবান হবে, দেশে অড়হর ডালের ঘাটতি পূরণ হবে, ডালের দাম নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে একটি নির্দিষ্ট সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে।
আইপিজিএ এই বছরের শুরুতে ব্রাজিলের সাথে একটি চুক্তি করেছে। আইপিজিএ ব্রাজিলের কৃষকদের কাবুলি ছোলার চাষে সহায়তা করবে। কাবুলি ছোলা ব্রাজিলের একটি সম্পূর্ণ নতুন ফসল।
এদেশে অড়হরের চাহিদা এবং সরবরাহের মধ্যে সাধারণত ১.৫ মিলিয়ন টন পার্থক্য রয়েছে। সরকার প্রতিনিয়ত আমদানির মাধ্যমে এই ঘাটতি পূরণের চেষ্টা করে। আবহাওয়ার অবস্থা অনুযায়ী, চাহিদা এবং সরবরাহের মধ্যে এই পার্থক্য উপরে এবং নিচে যেতে পারে।
No comments:
Post a Comment