মণিপুর সহিংসতায় নিহত ১৪২
ব্রেকিং বাংলা ন্যাশনাল ডেস্ক, ১১ জুলাই : মণিপুরে সহিংসতার আগুন ৪ জুলাই পর্যন্ত ১৪২ জনের জীবন কেড়ে নিয়েছে। সোমবার, ১০ জুলাই মণিপুর সরকার সুপ্রিম কোর্টে স্ট্যাটাস রিপোর্ট দাখিল করে। যেখানে বলা হয়েছে, সহিংসতায় আক্রান্ত রাজ্যে বেশির ভাগ সুযোগ-সুবিধা শুরু হয়েছে। রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছে যে এখনও পর্যন্ত মাত্র ১৮১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টকে বলেছে যে নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে ৬৭৪৫ জনকে আটক করা হয়েছে। স্ট্যাটাস রিপোর্টে বলা হয়েছে যে উপত্যকার ইম্ফল পূর্ব, ইম্ফল পশ্চিম, কাকচিং, থৌবাল এবং বিষ্ণুপুর জেলায় ১০১ জন মারা গেছে। যার মধ্যে সর্বোচ্চ ২৯ জন মারা গেছে ইম্ফল পূর্ব ও পশ্চিমের জেলায়।
কাকচিংয়ে ২১ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে মণিপুর সরকার। কর্মকর্তারা বলছেন, ৪ থেকে ১০ জুলাইয়ের মধ্যে একজন পুলিশ সদস্যসহ আরও ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। । অন্যদিকে পাহাড়ি জেলার কথা বললে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে চুড়াচাঁদপুরে। এই জেলাটি সহিংস সংঘর্ষের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এখানে ২৮ জন মারা গেছে। চুড়াচাঁদপুরে কুকি সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস। একই সঙ্গে কাংপোকপি পার্বত্য জেলায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মণিপুরে মোট ১৬টি জেলা রয়েছে, তবে সেগুলিকে সাধারণত উপত্যকা এবং পার্বত্য জেলাগুলিতে বিভক্ত দেখা যায়। উপত্যকা জেলাগুলিতে মেইতেই সম্প্রদায়ের আধিপত্য রয়েছে এবং পার্বত্য জেলাগুলি কুকি-জোমি এবং নাগা উপজাতিদের দ্বারা অধ্যুষিত।
মণিপুর সরকারের পেশ করা স্ট্যাটাস রিপোর্টে ১০টি জেলার পুলিশ রিপোর্ট থেকে প্রাপ্ত তথ্য দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, সহিংস সংঘর্ষে ৪৬২ জন আহত হয়েছেন এবং ১৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন। মণিপুর সরকারের স্ট্যাটাস রিপোর্টে বলা হয়েছে যে পুলিশের রেকর্ড অনুযায়ী, ৫৯৯৫টি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে। রাজ্যে অগ্নিসংযোগের ৫০৫৩টি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। চুড়াচাঁদপুর ও কাংপোকপিতে এক হাজারের বেশি অগ্নিসংযোগের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। CJI ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে এই রিপোর্ট পেশ করা হয়।
No comments:
Post a Comment