ত্রিবতীনাথ মন্দিরের পৌরাণিক ইতিহাস
মৃদুলা রায় চৌধুরী, ১১ জুলাই : ইউপির বেরেলি নাথ শহর, এখানে নবনাথ মন্দির রয়েছে এবং নাথ শহরকেও নাথ করিডোর করা হচ্ছে। নাথ নগরীর প্রাচীন মন্দিরটি ৬০০ বছরের পুরনো ত্রিবতীনাথ মন্দির। লক্ষাধিক ভক্ত এই শ্রাবন এসে জলাভিষেক করেন। আসুন জেনে নেই মন্দিরের পৌরাণিক ইতিহাস-
প্রকৃতপক্ষে, ইউপির বেরেলি মন্ডলের প্রাচীনতম বাবা ত্রিবতীনাথ মহাদেব মন্দিরটি শুধু বেরেলি এবং সমগ্র উত্তরপ্রদেশে নয়, দেশে বিদেশেও বসবাসকারী ভক্তদের বিশ্বাসের কেন্দ্রবিন্দু।ভক্তরা এই মন্দিরে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে এখানে সকলের ইচ্ছা পূরণ হয়।পুরোহিত রাবেন্দ্র এবং বাবা ত্রিবতীনাথ মন্দির সেবা সমিতির মিডিয়া ইনচার্জ সঞ্জীব আগরওয়াল বলেন, মহাদেবের এই ধর্মীয় স্থানটি ৬০০ বছরের পুরনো যেখানে মহাদেব স্বয়ং শিবলিঙ্গ রূপে বসে আছেন।
প্রায় ৬০০ বছর আগে এখানে চারদিকে ঘন জঙ্গল ছিল, বনে সব ধরনের বন্য প্রাণী বাস করত। জঙ্গল এতটাই ভয়ানক ছিল যে সাধারণত কেউ এখানে আসত না। কখনও কখনও রাখালরা এখানে তাদের গবাদি পশু চরাতে আসত।একদা এক রাখাল তার গবাদি পশু চরাতে এই জঙ্গলে এসেছিল এবং দিনের বেলা ক্লান্ত হয়ে একটি বটগাছের নীচে বিশ্রাম নিয়ে গভীর ঘুমে শুয়ে পড়ল। তাই রাখাল একটি দিব্য স্বপ্ন দেখেন।স্বপ্নে মহাদেব স্বয়ং তাঁকে দেখা দেন।
মহাদেব রাখালকে বললেন 'ওঠ আমি এই বটগাছের নীচে আছি।' হঠাৎ করে রাখাল জেগে উঠে সেই বিশাল বটগাছের নিচে বিশাল শিবলিঙ্গ দেখতে পেল।পুরো গ্রামের মানুষকে খবর দিল। এরপর বিশাল বটগাছের নিচে দেখা শিবলিঙ্গ দেখে গ্রামের মানুষ মহাদেবের পূজো করেন।তারপর থেকে এই দিব্য শিবলিঙ্গ দেখতে বছরের পর বছর ধরে ভক্তরা আসতে শুরু করেন।
এই মন্দিরে জলাভিষেক করতে আসা ভক্তরা এবং কিছু মহিলা ভক্তরা জানান যে শ্রাবন মাসে এই মন্দিরে জলাভিষেক এবং বেলপাত্র নিবেদন করলে মনের সমস্ত ইচ্ছা পূরণ হয়।
ত্রিবতীনাথ মন্দির হল সমস্ত শিব ভক্তদের বিশ্বাসের প্রধান কেন্দ্র। সময়ে সময়ে এখানে বিশাল শিবালয়, রামালয়, নবগ্রহ মন্দির বৃহস্পতিদেব স্থান, নন্দীবন, মনৌতি স্থল, যজ্ঞশালা ইত্যাদি নির্মাণ করা হয়েছিল। ত্রিবতীনাথ মন্দিরের মূলে শিবের একটি বিশাল ৫৯ ফুট উঁচু মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে। এই মূর্তিটি শহর থেকেই দেখা যায়।মন্দিরে যাওয়ার সময় হলেই প্রথমেই দেখা যায় ৫৯ ফুট লম্বা ভগবান শিবের মূর্তি।নাথ নগরীতে বিশাল শিব মূর্তিটির নাম আলাদা বলে মনে করা হয়।
No comments:
Post a Comment