মহিলার এমএমএস তুলে ব্ল্যাকমেল, গ্রেফতার ওই যুবক
নিজস্ব প্রতিবেদন, কলকাতা, ০২ জুলাই : কলকাতায় এক যুবকের বিরুদ্ধে এক মহিলাকে স্নান করার সময় ভিডিও করে ব্ল্যাকমেইল করে বেশ কয়েকদিন ধরে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। গ্রেফতারকৃত যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে, সে তার অপরাধ স্বীকার করেছে এবং পুলিশ তার বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা শুরু করেছে। কলকাতার সিঁথি এলাকার এক মহিলা (৩৫) পর্যায়ক্রমে হুমকি ও ব্ল্যাকমেল করে ধর্ষণের শিকার হন এবং পরবর্তী হয়রানি সহ্য করতে না পেরে পুলিশের দ্বারস্থ হন।
সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়। দমদম এলাকা থেকে যুবককে গ্রেফতার করা হয়। শিয়ালদহ আদালতে পেশ করা হলে বিচারক অভিযুক্তকে ৭ জুলাই পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পুলিশ জানায়, ওই মহিলা ২০২০ সালে একটি সেলাই মেশিন কিনে স্বাবলম্বী হতে চেয়েছিলেন। যেহেতু ওই মহিলার স্বামী পেশায় একজন গাড়িচালক, তাই তাকে বেশির ভাগ সময় বাড়ির বাইরে কাটাতে হতো। একাকীত্ব দূর করতে সেলাই করে স্বাবলম্বী হতে চেয়েছিলেন ওই মহিলা।
এরই মধ্যে ওই যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয় ওই মহিলার, যে পেশায় সেলাই মেশিন মেকানিক। ওই যুবক ওই মহিলার বাড়িতে তার সেলাই মেশিনের সার্ভিসিং করতে আসতেন। একদিন না জানিয়ে বাড়িতে চলে আসেন ওই যুবক। এ সময় ওই মহিলা বাথরুমে স্নান করছিলেন। সুযোগ নিয়ে যুবকটি মোবাইল ফোনে মহিলার নগ্ন স্নান করার ভিডিও তোলেন। পুলিশের কাছে নির্যাতিতা মহিলার বয়ান অনুসারে, তিনি স্নান করে বেরিয়ে এসে যুবকটিকে বসে থাকতে দেখেন এবং সে সময় ওই ভিডিওটি তাঁকে দেখানো হয়।
ওই দিন থেকেই ওই মহিলাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। যুবকের 'ব্ল্যাকমেইল' সহ্য করতে না পেরে একপর্যায়ে অসহায় হয়ে পড়েন ওই মহিলা। যুবক তাকে শিয়ালদহ ও ব্যারাকপুর মহকুমার বিভিন্ন হোটেলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। তাকে কলকাতা ও আশেপাশের হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করে।
অবশেষে এই হয়রানি সহ্য করতে না পেরে নির্যাতিতা মহিলা সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে ২৭ জুন সিঁথি থানায় ওই যুবকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
No comments:
Post a Comment