নয় ঘণ্টা অস্ত্রোপচার করে এই ডাক্তাররা অসম্ভবকে করলেন সম্ভব! - Breaking Bangla |breakingbangla.com | Only breaking | Breaking Bengali News Portal From Kolkata |

Breaking

Post Top Ad

Sunday 30 July 2023

নয় ঘণ্টা অস্ত্রোপচার করে এই ডাক্তাররা অসম্ভবকে করলেন সম্ভব!

 



নয় ঘণ্টা অস্ত্রোপচার করে এই ডাক্তাররা অসম্ভবকে করলেন সম্ভব!


ব্রেকিং বাংলা ন্যাশনাল ডেস্ক, ৩০ জুলাই : পৃথিবীতে ডাক্তারদের ঈশ্বরের মর্যাদা দেওয়া হয়।  দিল্লি এইমসের চিকিৎসকরা এই কথার সত্যতা প্রমাণ করেছেন।  AIIMS ডাক্তাররা ১১ মাস বয়সী যমজ মেয়ের সফল অস্ত্রোপচার করেছেন।  এই যমজ মেয়েরা জন্মের সময় থেকেই একে অপরের সাথে সংযুক্ত ছিল।  দীর্ঘ ৯ ঘণ্টা অস্ত্রোপচারের পর তাদের আলাদা করেছেন চিকিৎসকরা।  এই দু বোনের নাম ঋদ্ধি-সিদ্ধি।  অস্ত্রোপচারের পর দুজনেই ভালো আছেন।


 ঋদ্ধি-সিদ্ধি দুই বোনকেই এইমস-এ ভর্তি করা হয়েছিল।  ডাক্তাররা তাদের পর্যবেক্ষণ করেছিলেন এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে সঠিক সময় এলে মেয়েদের অস্ত্রোপচার করা হবে।  কয়েক মাস ধরে তাদের বিভিন্নভাবে পরীক্ষা করা হয়।  এরপরই অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।  এইমসের পেডিয়াট্রিক সার্জারি বিভাগের চিকিৎসকদের দলের নেতৃত্বে এই অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।


 এইমসের পেডিয়াট্রিক সার্জারি বিভাগের এইচওডি অধ্যাপক ডাঃ মীনু বাজপেয়ী জানিয়েছেন যে এই বোনদের পেট এবং বুকের সাথে সংযুক্ত ছিল।  এ কারণে দুজনের মুখ একে অপরের সামনে।  মেয়েদেরও ঘুরতে ও ঘুমতে অসুবিধা হতো।  তার বাবা-মাকে অস্ত্রোপচারের কথা বলা হয়েছিল।  ১১ মাসে বেশ কিছু পরীক্ষা করা হয়েছিল, যাতে দেখা যায় যে তার লিভারের একটি অংশ অন্যটির সাথে সংযুক্ত রয়েছে।


তবে মেয়েদের হৃৎপিণ্ডের কোনো ধমনী সংযুক্ত ছিল না।  আর তাই অস্ত্রোপচারের পরিকল্পনা করা হয়।  অস্ত্রোপচারের সময় প্রথমে তার লিভারের অংশ আলাদা করা হয়।  এর পরে বুকের জায়গাটি আলাদা করা হয়। এমনি এই ছোট্ট মেয়েদের কয়েক ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।  অস্ত্রোপচারের পর তার কোনো সমস্যা হয়নি।  এখন তারা সুস্থ।  ডক্টর মিনু বলেন, গত কয়েকদিনে এটি এইমস-এ তৃতীয় বড় অস্ত্রোপচার।


 ডক্টর মিনু বলেন, বাচ্চাদের এভাবে যুক্ত হওয়ার কারণ কী, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো তথ্য নেই।  এটি জেনেটিক কারণে বা অন্য কোনো সমস্যার কারণে হতে পারে।  যদি কোনো দম্পতির এ ধরনের সন্তান জন্ম নেয়, তাহলে তাদের চিকিৎসার জন্য বড় হাসপাতালে যেতে হবে।


 ঋদ্ধি-সিদ্ধির সফল অস্ত্রোপচারের পর তাদের বাবা-মা খুব খুশি।  তার বাবা অঙ্কুর গুপ্তা এবং মা দীপিকা গুপ্তা বেরেলির বাসিন্দা।  বাবা স্যান্ডেলের দোকান চালান।  বাবা অঙ্কুর গুপ্ত বলেছেন, এইমসের চিকিৎসকরা তাঁর দুই মেয়েকেই নতুন জীবন দিয়েছেন।  তার মেয়েরা এখন সুস্থ।  

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad