কুকীর্তি! দু বছর ধরে বাবার হাতে ধর্ষিতা মেয়ে
নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রাম, ২১ জুলাই : ঝাড়গ্রামে বছরের পর বছর ধরে মেয়েকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল বাবার বিরুদ্ধে। আদালত ঘটনাটিকে 'বিরলতমের বিরল' বলে অভিহিত করেছে এবং ঝাড়গ্রাম আদালত এই মামলায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ঘোষণা করেছে। অভিযুক্ত বাবাকে ৩৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। আদালত বলেছে, মাতাল অবস্থায় নিজের মেয়েকে ধর্ষণের মতো নৃশংস ঘটনা এখানে আগে কখনো ঘটেনি।
ঝাড়গ্রামের এডিজে ২ পক্সো আদালতে, আদালত তার মেয়েকে ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত বাবা নন্দ সিংকে ৩৫ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে। সেই সঙ্গে ৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। সেই সঙ্গে ধর্ষিতাকে ৩ লক্ষ টাকা দেওয়ারও সুপারিশ করেছে আদালত।
২০১৮ সালে সাঁকরাইল থানা এলাকায় ঘটেছিল। ঘটনার দিন ১৭ই জুলাই ২০১৮ সাঁকরাইল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযুক্ত নন্দ সিংকে ওই দিনই সাঁকরাইল থানার পুলিশ গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৫ বছর বয়সী ওই স্কুলছাত্রী তার বাবা নন্দ সিংয়ের সঙ্গে বাড়িতে একাই থাকত। পাঁচ বছর আগে তার মা মারা গেছেন। তার এক দাদা বাইরে থাকতেন। ঘটনার দিন বিকেলে মদ্যপ অবস্থায় বাড়িতে আসেন নন্দ সিং।
এরপর ওই নাবালিকাকে জোরপূর্বক ঘরের ভেতরে নিয়ে গিয়ে তার জামা-প্যান্ট খুলে ধর্ষণ করে বাবা। এভাবে প্রায় দু বছর ধরে ধর্ষণ করে ওই কিশোরীর বাবা। পরে ওই মেয়েটি তার কাকিমা ও প্রতিবেশীদের কাছে পুরো ঘটনা খুলে বলে।
এই ঘটনা জানতে পেরে প্রতিবেশীরা নন্দ সিংকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। ওই দিনই বাবার হাতে ধর্ষিত মেয়েটি থানায় অভিযোগ দায়ের করে।
এ ঘটনায় মেয়েটি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। ওই দিনই তাঁকে সাঁকরাইল ব্লকের বঙ্গগড় গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পাঁচদিন ওই হাসপাতালেই চিকিৎসা চলছিল।১৮ আগস্ট ২০১৮ তারিখে চার্জশিট তৈরি করা হয়। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে বিচার শুরু হয়। আদালতে মোট ১৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। এই ঘটনাকে 'বিরল ঘটনা' বলে অভিহিত করেছেন আদালত।
স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর পকসো কোর্ট জয়ন্ত রায় বলেন, এডিজে ২ কোর্টের বিচারক বলেছেন, এটি একটি বিরল মামলা। তাই এই অপরাধীদের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিৎ।
No comments:
Post a Comment