ফুল চাষে লাভবান কৃষকেরা
ব্রেকিং বাংলা ন্যাশনাল ডেস্ক, ১২ জুলাই : ঝাড়খণ্ডের কৃষকরা এখন ঐতিহ্যবাহী ফসলের চেয়ে ফুল চাষে বেশি আগ্রহ নিচ্ছেন। পালামৌ জেলায় বিপুল সংখ্যক কৃষক ফুল চাষে যোগ দিয়েছেন। কেউ গাঁদা ফুলের চাষ করছেন, আবার কেউ গোলাপ, চম্পা, জুঁই ও সূর্যমুখী চাষ করছেন। বিশেষ বিষয় হল ফুল চাষ শুরু করার পরই পালামৌ কৃষকদের আয় আগের চেয়ে অনেক ভালো হয়েছে। চাষিরা জানান, কম পরিশ্রমে ফুল চাষ করে বেশি লাভ পাওয়া যায়।
তথ্য অনুযায়ী, পালামৌ জেলার গাড়োয়া ও লাতেহার থানা এলাকায় বিপুল সংখ্যক কৃষক ফুল চাষ করছেন। এমতাবস্থায় এ এলাকার কৃষকেরা ভিন্ন পরিচিতি পেয়েছেন। এসব চাষিদের উৎপাদিত ফুল শুধু পালামৌতেই নয়, অন্যান্য জেলায়ও বিক্রি হচ্ছে। বিশেষ বিষয় হল এই সবই সম্ভব হয়েছে উদ্যানপালন বিভাগের সহযোগিতা এবং কৃষকদের কঠোর পরিশ্রমের কারণে। উদ্যানতত্ত্ব বিভাগ ফুল চাষের জন্য এলাকার ৪৫৯ জন কৃষকের মধ্যে চারা বিতরণ করেছে।
পালামৌর বাসারিয়া কালা, সালাতুয়া, কাঁকরি এবং বন্দুয়া পঞ্চায়েতে, ১৩০ জন কৃষক গাঁদা এবং গ্ল্যাডিওলাস চাষ করছেন। এসব কৃষকের মধ্যে মহিলার সংখ্যাও ভালো। ঋতু দেবী, মীনা দেবী ও মঞ্জু দেবীসহ অনেক মহিলা চাষি ছোট ছোট প্যাঁচে ফুল চাষ করছেন। লাতেহারে ২০ হেক্টর জমিতে ফুল চাষ করছেন চাষিরা। প্রায় ২০ জন কৃষক গাঁদা ও গ্লাডিওলাস ফুল চাষ করছেন। এ কারণে বছরে লাখ লাখ টাকা আয় হচ্ছে কৃষকদের।
এক একর জমিতে ফুল চাষ করেছেন কৃষক আলতাফ আনসারী। তিনি তার জমিতে সূর্যমুখী, গোলাপ, রজনীগন্ধা ও গাঁদা ফুলের চাষ করেছেন। আলফাত আনসারি বলেন, তার পরিবারও কৃষিকাজে সাহায্য করে। এগুলো থেকে আশেপাশের ব্যবসায়ীরা সরাসরি খামারে এসে ফুল কেনেন। ফুলের উপার্জন থেকে চলে তাদের ঘরের খরচ। এক একরে ফুল চাষ করে তারা ভালো আয় করেন।
পালামৌ উদ্যানপালন আধিকারিক শৈলেন্দ্র কুমার বলেছেন যে চেইনপুর ব্লকের ৯৯ জন কৃষককে গাঁদা, জারবেরা এবং গ্ল্যাডিওলাস গাছ চাষের জন্য দেওয়া হয়েছিল। এসব ফুল চাষ করে চাষিরা ভালো আয় পাচ্ছেন। তিনি বলেন, ফুল চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে, যাতে কৃষকরা ভালো আয় করে অন্যদের অনুপ্রেরণা হতে পারে।
No comments:
Post a Comment