লুম্পি ভাইরাস আক্রান্ত গরুর দুধ পান করা কী উচিৎ?
ব্রেকিং বাংলা হেলথ ডেস্ক, ২৪ জুলাই : লুম্পি ভাইরাস একটি সংক্রামক রোগ, যার কারণে গরু সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়। গত বছর গরুর এই ভাইরাসের বিপুল সংখ্যক আক্রান্তের ঘটনা দেখা যায়। এখন আবার অনেক এলাকায় লুম্পি ভাইরাসের ঘটনা বাড়ছে। এতে অনেক গরু মারাও গেছে। লুম্পি ভাইরাস হল এক ধরনের চর্মরোগ, যা ত্বকে পিণ্ড তৈরির মাধ্যমে শুরু হয়। আসলে এটি লুম্পি ভাইরাস, যা একটি দুরারোগ্য রোগ। চলুন জেনে নেই লুম্পি ভাইরাসে আক্রান্ত গরুর দুধ পান কী করা যাবে-
এই ভাইরাস সুস্থ পশু এবং দুগ্ধ গাভীকেও লক্ষ্যবস্তু করতে পারে। লুম্পি ভাইরাসের প্রভাবে গরুর শরীরের প্রায় সব অংশে পুরু পিণ্ড তৈরি হয়, যা ক্ষত তৈরি করতে শুরু করে। ডাক্তারি ভাষায় একে বলা হয় লুম্পি স্কিন ডিজিজ ভাইরাস অর্থাৎ 'এলএসডিভি'। এই রোগের কিছু লক্ষণ একটি প্রাণীর মধ্যে দেখা যায়, যা মনোযোগ দিতে গুরুত্বপূর্ণ।
জ্বর
চোখ দিয়ে জল
শরীরে পিণ্ডের উদ্ভব
পশুর ওজন হ্রাস
ক্ষিদে না লাগা
শরীরের উপর পুরু ক্ষত গঠন
কম দুধ দেওয়া
লুম্পি ভাইরাসে আক্রান্ত গরুর দুধ পান কী করা যাবে:
মশা, মাছি, পরজীবী পোকামাকড়, নোংরা পানি, দূষিত খাবার বা সংক্রামিত প্রাণীর লালার সংস্পর্শে এসে লম্পি ভাইরাস প্রাণীদের মধ্যে ছড়ায় বলে মনে করা হয়। লুম্পি ভাইরাস নিয়ে আমাদের মনে শঙ্কা আছে এই ভাইরাসে আক্রান্ত পশুর দুধ পান করা যাবে কি না? সংক্রমিত পশুর দুধ পান করলে কি এই রোগ আমাদের মধ্যে ছড়াবে?
এখন পর্যন্ত মানুষের মধ্যে লুম্পি ভাইরাস ছড়ানোর কোনও ঘটনা ঘটেনি। তবে, যদি কাঁচা দুধ পান করার ভুল করা উচিৎ নয়। বিশেষ করে যখন এটি লুম্পি ভাইরাসে আক্রান্ত পশুর দুধের ক্ষেত্রে আসে। যে পশুর দুধই হোক না কেন, তা সবসময় ফুটিয়ে পান করা উচিৎ। কারণ ফোটানো দুধে উপস্থিত ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে।
No comments:
Post a Comment