জানেন কী প্রেমের হরমোন সম্পর্কে?
ব্রেকিং বাংলা লাইফস্টাইল ডেস্ক, ০২ জুলাই: ভালোবাসার এই অনুভূতি নিয়ে কত কবিতা, গল্প রচিত হয়েছে। এই সবের মধ্যে যদি একটি জিনিস কমন থাকে, তবে তা হল মন। প্রেমের সংযোগ সবসময় হৃদয় থেকে বিবেচনা করা হয়। তবে বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে প্রেমের সম্পর্ক মনের সঙ্গে নয় মনের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়।
এখন কথা বলা যাক কীভাবে ভালোবাসাকে হৃদয়ের পরিবর্তে মস্তিষ্কের সাথে সম্পর্কিত বলে মনে করা হয়। আসলে, কাউকে অন্যরকম অনুভূতি করার পেছনে মস্তিষ্ক থেকে একটি হরমোন বেরিয়ে আসে। অর্থাৎ ভালোবাসার অনুভূতি হৃদয় থেকে নয় মন থেকে আসে।
ভালোবাসা বা ভালোবাসার হরমোন কী?
অক্সিটোসিন হরমোন নিঃসরণ একটি নির্দিষ্ট ব্যক্তির (ছেলে/মেয়ে) একে অপরের প্রতি বা মায়ের সন্তানের প্রেমময় অনুভূতির কারণ। এই হরমোন মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাসের নিচের অংশে উপস্থিত পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে বের হয়। 'অক্সিটোসিন' হল সেই হরমোন যাকে সাধারণ ভাষায় প্রেমের হরমোন বা প্রেমের হরমোন বলা হয়।
এতকিছুর পরও কেন কাউকে দেখে হৃদয়ে 'কিছু হয়'?
হৃৎপিণ্ডের প্রধান কাজ হলো শরীরে রক্ত চলাচল ঠিক রাখা। তবুও, অনেক সময় অনেকে বলতে শোনা যায় বা নিজেই অনুভব করা যায় যে হঠাৎ কাউকে দেখলে হৃদস্পন্দন দ্রুত হয়ে যায়। আসলে, আমরা যখন বেশি ভয় পাই, খুশি হই বা উত্তেজিত হই, তখন ক্যাটেকোলামাইনস নামক একটি রাসায়নিক শরীরে সক্রিয় থাকে, এই রাসায়নিক কিডনির কাছের গ্রন্থি থেকে বেরিয়ে আসে 'এন্ডোক্রাইন', যা স্নায়ুতে সংকেতের মতো কাজ করে। অনেক রিপোর্টে বলা হয়েছে যে মন এবং হৃদয়ের স্বাস্থ্য একে অপরের সাথে সম্পর্কিত। এ কারণে মস্তিষ্ক থেকে সংকেত পাওয়ার পর হৃৎপিণ্ডের স্পন্দনেও প্রভাব পড়ে।
No comments:
Post a Comment