দুঃসাহসিক! বান্ধবীকে মেরে ফেলার অভিসন্ধি বানচাল করল পুলিশ
ব্রেকিং বাংলা ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৬ জুলাই : নিজের বান্ধবীকে খুনের অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।২৫ বছর বয়সী এই ব্যক্তি তার আগের বান্ধবীকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করেছিল, বান্ধবীর মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে এবং তারপরে তাকে মৃত ভেবে গাড়িতে নিয়ে ঘোরাঘুরি করতে থাকেন। এরপর তিনি পুলিশের হাতে ধরা পড়ে।এরপর পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে এবং মেয়েটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আসলে ওই ব্যক্তি মেয়েটিকে হাতুড়ি দিয়ে বার কয়েক আঘাত করে, রক্ত প্রবাহিত হতে দেখে সে ভাবে মেয়েটি মারা গেছে। এরপর মেয়েটিকে গাড়িতে রেখে, মেয়েটির দেহ লুকোনোর জন্য আস্তানা খুঁজতে ঘোরাফেরা করলে আতঙ্কে তিনি একটি পার্ক করা গাড়িকে ধাক্কা মারেন। এরপর পুলিশ ডাকলে বিষয়টি জানাজানি হয়। পুলিশ গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করতে ঘটনাস্থলে আসে, তখন গাড়িটি খুললে মেয়েটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
ঘটনার বিশদ বিবরণ দিয়ে দ্বারকার ডিসিপি এম হর্ষবর্ধন বলেছেন যে অভিযুক্তকে শনাক্ত করা হয়েছে সাহিল কুমার, দিল্লি জল বোর্ডের (ডিজেবি) চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী, যিনি পশ্চিম দিল্লির তিলক নগরে এক মহিলার সাথে থাকতেন। জানুয়ারিতে এই দম্পতির মধ্যে ঝগড়া হয়, যার জেরে মেয়েটি তাকে ছেড়ে চলে যায়। এরপর মেয়ের কাছ থেকে প্রতিশোধ নিতে এমন কাজ করেন ওই ব্যক্তি।
পুলিশ জানিয়েছে, ৩০ জুন কথা বলার অজুহাতে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি মেয়েটিকে ডেকে নিয়ে গাড়িতেই হামলা চালায়। তিনি একটি হাতুড়ি দিয়ে গাড়িতে তার মাথায় আঘাত করেন, যার পরে ওই ব্যক্তি অজ্ঞান হয়ে যান। ওই ব্যক্তি ভাবেন যে মেয়েটি মারা গেছে, এমতাবস্থায় তিনি ওই মেয়েটির দেহ ড্রেনে বা অন্য কোথাও ফেলার জন্য ঘোরাফেরা শুরু করে। এদিকে দ্বারকা সেক্টর-৩-এর একটি হোটেলের বাইরে পার্ক করা একটি গাড়িকে ধাক্কা মারে সে। এরপর হোটেল মালিক গাড়ি থামানোর চেষ্টা করলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যেতে থাকে। তবে কিছুদূর যাওয়ার পর ধরা পড়েন তিনি।
এর পর লোকজন গাড়ির ভেতরে উঁকি দিলে সেখানে একটি মেয়ে পড়ে আছে। সেখানে উপস্থিত লোকজন মেয়েটির হাত-পা কাঁপতে দেখে, পরে পুলিশকে ডাকা হয়। লোকজন সঙ্গে সঙ্গে মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে মেয়েটির অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে।
,
No comments:
Post a Comment