ভেন্ডি চাষে লাখপতি এই কৃষক
ব্রেকিং বাংলা ন্যাশনাল ডেস্ক, ১৯ জুলাই : রাজস্থানের কৃষকরা শুধুমাত্র গম, ভুট্টা, বাজরা এবং সর্ষে চাষই করছে না, এখন রাজস্থানের কৃষকরাও অন্যান্য রাজ্যের কৃষকদের মতো উদ্যান ও সবজি চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। এ কারণে আগের তুলনায় এখানকার কৃষকদের আয় বেড়েছে। বিশেষ বিষয় হল সবজি চাষ থেকে কৃষকরা প্রতিদিন আয় করেন।
বর্তমানে রাজস্থানে হাজার হাজার কৃষক ব্যাপক হারে সবুজ শাকসবজি চাষ করছেন। তবে আজ আমরা এমন একজন কৃষকের কথা জানবো যিনি খুব অল্প জায়গায় ভেন্ডি ও কাঁচা লংকা চাষ করে লাখ লাখ টাকা আয় করেছেন। তাদের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে আজ অন্য কৃষকরাও সবুজ শাকসবজি চাষ করছেন।
আসলে, আমরা ভিলওয়ারা জেলার বেগোদ শহরে বসবাসকারী কৃষক শ্যামলাল মালি, তিনি কঠোর পরিশ্রম এবং প্রগতিশীলতা তাকে আজ সারা রাজস্থানে আলোচনার বিষয় করে তুলেছে। শ্যামলাল মালি মাত্র এক বিঘা জমিতে ভেন্ডি ও ২ বিঘা জমিতে কাঁচা লংকা চাষ করে ৭ লাখ টাকা আয় করেছেন। বিশেষ ব্যাপার হল মাত্র এক মৌসুমে এত আয় করেছেন তিনি।
কৃষক শ্যামলাল মালি বিগদ শহরের গোবিন্দপুরা গ্রামের বাসিন্দা। আগে তিনি সনাতন পদ্ধতিতে গম, সর্ষে সহ অন্যান্য ফসল চাষ করতেন। এ কারণে তারা পরিশ্রমের তুলনায় কম লাভ পেতেন। এমতাবস্থায় শ্যামলাল ঐতিহ্যবাহী ফসলের পরিবর্তে উদ্যানপালন করার পরিকল্পনা করেন। গত দুবছর ধরে তিনি নিজ গ্রামে সবুজ শাক-সবজি চাষ করছেন। শ্যামলাল মালি জানান, এবার তিনি এক বিঘা জমিতে ভেন্ডি চাষ করেছেন, যা থেকে আয় হয়েছে তিন লাখ টাকা। এছাড়া দু বিঘা জমিতে লংকার চাষ হয়েছে। বিশেষ ব্যাপার হল লংকা বিক্রি করে শ্যামলাল ৪ লক্ষ টাকা আয় করেছেন। এভাবে ৩ বিঘা জমিতে সবজি চাষ করে আয় করেছেন ৭ লাখ টাকা।
শ্যামলাল বলেন, সবজি চাষ শুরু করতে গিয়ে তিনি সরকারি অনুদানেরও পুরো সদ্ব্যবহার করেছেন। তিনি ভর্তুকির টাকায় খামারে ড্রিপ ইরিগেশন, স্প্রিংকলার ইরিগেশন প্লান্ট ও মিনি স্প্রিংকলার প্ল্যান্ট স্থাপন করেন।
No comments:
Post a Comment