বাড়তে পারে দুধের দাম!
ব্রেকিং বাংলা ন্যাশনাল ডেস্ক, ২১ জুলাই : বর্তমানে মূল্যস্ফীতি থেকে সাধারণ মানুষের স্বস্তি পাওয়ার কোনো আশা নেই। একের পর এক খাবার-দাবার সব জিনিসই দামি হয়ে যাচ্ছে। আগে টমেটোর বাড়তি দাম জনগণের বাজেট নষ্ট করত আর এখন কয়েকদিন পর দুধেরও দাম বাড়তে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পশুখাদ্যের দাম বাড়ায় শিগগিরই দেওয়া দুধের দামও চার থেকে পাঁচ শতাংশ বাড়তে পারে। এর সরাসরি প্রভাব পড়বে খাদ্যপণ্যের ওপর। দুধের দাম বাড়ায় দই, বাটার মিল্ক, মিষ্টি, লস্যি ও পনিরের দামও বাড়বে।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পশুখাদ্যের পাশাপাশি পশুখাদ্যও ২৫ শতাংশ দাম বেড়েছে। যার সরাসরি প্রভাব পড়ছে দুধ উৎপাদনে। এখন দুগ্ধজাত গবাদি পশুর খাদ্যে আগের চেয়ে বেশি খরচ করতে হচ্ছে খামারিদের। এমতাবস্থায় কৃষকরা দুগ্ধ কোম্পানির কাছে দামি দরে দুধ বিক্রি করছেন। এ কারণে দুগ্ধ কোম্পানিগুলোও উচ্চমূল্যের কারণে দুধ প্রক্রিয়াকরণ ও প্যাকেজিংয়ের পর দামে দামে দুধ বিক্রি করছে।
বিশেষ বিষয় হল দুধের দাম বৃদ্ধি নতুন কিছু নয়। গত এক দশকে দুধের দাম ৫৭ শতাংশ বেড়েছে। কিন্তু গত এক বছরের মধ্যেই সবচেয়ে দামি হয়েছে দুধ। এর দামে ১০ টাকা বৃদ্ধি রেকর্ড করা হয়েছে। গত তিন বছরের মূল্যস্ফীতির দিকে তাকালে দেখা যায়, দুধের দাম ২২ শতাংশের বেশি বেড়েছে। একই সঙ্গে কেউ কেউ বলছেন, করোনার সময় থেকে দুধের দাম আরও বেড়েছে। কারণ দুধ ও এর পণ্যের চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়েছে।
গত দেড় বছর ধরে অনেক রাজ্যে লক্ষ লক্ষ গবাদি পশু লাম্পি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এতে হাজার হাজার দুগ্ধ গবাদিপশু মারা গেছে। এছাড়াও, ভাইরাস-আক্রান্ত গবাদি পশুরা আগে থেকেই দুধ দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। এ কারণে হঠাৎ দুধের উৎপাদন কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে। এছাড়া অসময়ে বৃষ্টিতে ফসল নষ্ট হয়েছে। এ কারণে পশুখাদ্যের দামও বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে দুধের দামেও।
২০১৩ সালে এক লিটার ফুল ক্রিম দুধের দাম ছিল ৪২ টাকা। কিন্তু এখন এর দাম দাঁড়িয়েছে ৬৬ টাকা। এল নিনো এবং বন্যার কারণে খরিফ ফসল নষ্ট হয়ে যায়, তাই আগামী মাসগুলোতে পশুখাদ্যও দামি হয়ে যাবে। দুধের দাম বাড়তে পারে। দুধের দাম ৫ শতাংশ বাড়লে এক কেজি দুধের দাম বাড়বে তিন টাকা।
No comments:
Post a Comment