এআই বেবির মধ্যে থাকবে এই বিশেষ ব্যাপার, এদেশে গর্ভাবস্থার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে
মৃদুলা রায় চৌধুরী, ২০ জুলাই : এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন শিশু অর্থাৎ এআই শিশুর জন্ম হবে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে, ভ্রূণের বিকাশের সময় অনেক তথ্য পাওয়া যায়, যেমন ভ্রূণের সাফল্যের হার এবং জেনেটিক রোগ সংক্রমণের সম্ভাবনা। এ ছাড়া এটি এমন তথ্যও দিতে সক্ষম হবে যা এমনি চোখে দেখা যায় না। এখন আমেরিকায় এই কৌশল ব্যবহার করে এআই শিশুর জন্ম হতে পারে এবং এর প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
এআই শিশু :
এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইভিএফ প্রক্রিয়ায় এই কৌশল ব্যবহার করা হবে। IVF হল এক ধরনের চিকিৎসা যা তাদের জন্য উপযোগী যারা নিজেরাই সন্তান ধারণ করতে অক্ষম। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসা করা হয়, যেখানে ভ্রূণকে বিকশিত করা হয় এবং নারীর গর্ভে স্থাপন করা হয়।
এখন একটি AI সফটওয়্যার দিয়ে এই ভ্রূণ পরীক্ষা করা হবে, যা এর সম্পর্কে অনেক তথ্য দেবে। এভাবে জন্ম নেওয়া শিশুদের "AI বেবিস" বলা হবে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কতটা প্রভাব ফেলতে পারে:
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইভিএফ প্রক্রিয়া চলাকালীন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার এর সাফল্যের হারকে উন্নত করতে পারে। এটি দাবি করা হয় যে AI অ্যালগরিদম ব্যবহার করে IVF-এর সাফল্যের হার ৩০% পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে পারে। বর্তমানে এই কৌশলটি ইউরোপ, এশিয়া এবং দক্ষিণ আমেরিকায় গর্ভাবস্থার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে। এখন এটি আমেরিকাতে ব্যাপকভাবে শুরু করা যেতে পারে।
নতুন প্রযুক্তির পেছনের কারণ কী:
আসলে, আইভিএফ প্রক্রিয়ার সময় ভ্রূণ নির্বাচন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এখন পর্যন্ত ডাক্তাররা এই কাজটি করে আসছেন, তবে এখন এটি AI এর মাধ্যমে মূল্যায়ন করা যেতে পারে।
জেনেটিক রোগ প্রতিরোধ করা যায়:
মাইক্রোস্কোপের মাধ্যমে দেখা হলে সমস্ত ভ্রূণ একই রকম দেখায়, তাই কোন ভ্রূণটি ভাল তা নির্ধারণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। সুতরাং, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিশেষজ্ঞদের সহায়তা কার্যকর হবে। এই কৌশলটি পরীক্ষা করার সময় এটিতে সাফল্য পাওয়া গেছে। দাবি করা হয় যে এটি জেনেটিক রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে, অর্থাৎ ভবিষ্যতে জন্মগত বা নির্ণয় না হওয়া রোগের ঝুঁকি হ্রাস করা যেতে পারে।
No comments:
Post a Comment