লাল সোনা চাষে কোটিপতি হওয়ার সুযোগ
ব্রেকিং বাংলা ন্যাশনাল ডেস্ক, ১১ জুলাই : বিহার, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, পাঞ্জাব এবং মধ্যপ্রদেশে কৃষকরা এখনও সনাতন পদ্ধতিতে ধান ও গম চাষ করে। ঐতিহ্যবাহী এসব ফসল চাষে চাষিরা খরচের তুলনায় খুবই কম লাভবান হন। কৃষক ভাইরা যদি 'লাল সোনা' চাষ করেন, তাহলে তাদের ভাগ্য বদলে যেতে পারে। বিশেষ বিষয় হল 'লাল সোনার' দাম অনেক বেশি। বিদেশেও এর চাহিদা বেশি। এটি থেকে সুগন্ধি, ধূপকাঠি এবং অনেক সৌন্দর্য পণ্য তৈরি করা হয়। এ কারণেই বাজারে সবসময় এর চাহিদা থাকে।
লাল সোনা হল লাল চন্দন। এর কাঠ খুব দামি বিক্রি হয়। এর এক কেজি কাঠের দাম হাজার হাজার টাকা। লাল চন্দন দক্ষিণ ভারতে লাল রক্ত নামেও পরিচিত। কর্ণাটক, তামিলনাড়ু এবং অন্ধ্রপ্রদেশে কৃষকরা সর্বাধিক লাল চন্দন চাষ করে। উত্তর ভারতের রাজ্যগুলিতে কৃষকরা যদি লাল চন্দন চাষ করেন, তাহলে কয়েক বছরের মধ্যেই কোটিপতি হয়ে যেতে পারেন।
লাল চন্দন একটি খুব সুন্দর সুগন্ধ উৎপন্ন করে। পূজোয়ও এর কাঠ ব্যবহার করা হয়। এদেশে লাল চন্দন কাঠের বৃহত্তম উৎপাদনকারী। এখান থেকে লাল চন্দন জার্মানি, আমেরিকা, কানাডা, লন্ডনসহ অনেক দেশে রপ্তানি হয়। লাল চন্দনের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল এর কাঠের সাথে এর পাতাও বিক্রি হয়।
যেকোনও ধরনের মাটিতে লাল চন্দন চাষ করা যায়। যদি এমন গরম আবহাওয়া অঞ্চলে লাল চন্দন চাষ করা হয় তবে এর গাছগুলি দ্রুত বৃদ্ধি পায়। এর চাষের জন্য ১২ থেকে ৩৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা ভালো। মাটির PH মান ৬.৫ থেকে ৭.৫ এর মধ্যে হওয়া উচিৎ। বেলে দোআঁশ মাটিতে লাল চন্দন চাষ করলে এর গাছ দ্রুত তৈরি হয়।
একটি লাল চন্দন গাছের দাম ১৫০ টাকা। কৃষক ভাইয়েরা এক হেক্টর জমিতে ৬০০টি লাল চন্দন গাছ লাগানো যায়। লাল চন্দন গাছ লাগানোর ১২ বছর পরে প্রস্তুত হয়। কৃষক ভাইরা একটি লাল চন্দন গাছ বিক্রি করে ৬ লাখ টাকার বেশি আয় করা যাবে। এভাবে ১২ বছর পর ৬০০টি গাছ বিক্রি করে ৩৬ কোটি টাকা আয় করা যাবে।
No comments:
Post a Comment