ওমকারেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গ মন্দিরে নতুন নিয়ম চালু
ব্রেকিং বাংলা ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৬ জুলাই : বারোটি জ্যোতির্লিঙ্গের মধ্যে দুটি জ্যোতির্লিঙ্গ রয়েছে মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনী ও ওমকারেশ্বরে। শ্রাবন মাসকে সামনে রেখে ওমকারেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গ মন্দিরকে বিশেষভাবে সাজানো হয়েছে এবং ভক্তদের সুবিধার্থে নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছে। শ্রাবণ মাসের জন্য ফুলে সাজানো হয়েছে ওমকারেশ্বর মন্দির প্রাঙ্গণ।ওমকারেশ্বর মন্দির, রাজ মহল ও ওমকার পাহাড়ে করা হয়েছে আকর্ষণীয় বৈদ্যুতিক সজ্জা। হিন্দি শ্রাবন মাস পড়ে গেছে।
উল্লেখ্য, ১৯ বছর পর এবার এমন এক সংমিশ্রণ ঘটেছে যেখানে শ্রাবন মাস দু মাস থাকবে। এই মাসে আটটি সোমবার আসবে। এবার আট সোমবার ওমকারেশ্বরে মহা যাত্রা অনুষ্ঠিত হবে।এ সময় ভোলেনাথ তাঁর ভক্তদের অবস্থা জানতে পালকিতে চড়ে শহর প্রদক্ষিণ করবেন।
শ্রাবন মাসে ওমকারেশ্বরের নগর ঘাটে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বিখ্যাত গল্পকার কমল কিশোর নগর মহারাজের গল্প। তাই মুরারি বাপুও ওমকারেশ্বরে একদিনের গল্প শোনাবেন। শ্রাবনের দু মাসেই ওমকারেশ্বরে প্রায় ১০ লাখ ভক্তের আগমনের সম্ভাবনা প্রকাশ করেছে প্রশাসন। ভক্তদের ভিড় দেখে এখানে কংক্রিট ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুলিশ সুপার অনুপ সিং ওমকারেশ্বরে পৌঁছে এখানকার ব্যবস্থার খতিয়ে দেখেন।
শ্রাবণ মাসে ভক্তরা যাতে সঠিকভাবে দর্শন করতে পারেন সেজন্য প্রশাসন কিছু নতুন নিয়ম প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করেছে। শ্রাবণ মাসকে সামনে রেখে বিশেষ আয়োজন করেছে ওমকারেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গ ট্রাস্ট। মন্দিরের ট্রাস্টি জং বাহাদুরের মতে, শ্রাবণের দুই মাস দর্শনের জন্য কোনও অনলাইন বুকিং হবে না। শনি, রবিবার ও সোমবার বন্ধ থাকবে ভিআইপি দর্শন।
সকাল ৯টা পর্যন্ত মন্দিরে ফুল, বিল্বপত্র ও অভিষেক নিবেদনের ব্যবস্থা করা হবে।এর পর জল, বিল্বপত্র ও ফুল নিবেদন নিষিদ্ধ থাকবে। মন্দির চত্বরে অননুমোদিত প্রবেশকারী পণ্ডিত পুরোহিতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হবে। সম্প্রতি অভিষেকের জন্য একটি জায়গা দেওয়া হয়েছে, যেখানে ভক্তরা পণ্ডিতদের দ্বারা অভিষেক করাতে পারবেন।
ভিআইপি দর্শনের নামে ভক্তদের সঙ্গে লুটপাট ও অশ্লীলতা বন্ধে ফ্লাইং স্কোয়াড গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। যেখানে দশজনেরও বেশি লোক জড়িত থাকবে। কে নজর রাখবে মন্দিরের ব্যবস্থার দিকে।খান্ডোয়া-ইন্দোর সড়ক হয়ে বিপুল সংখ্যক কাভাদ তীর্থযাত্রী উজ্জয়িনী ও ওমকারেশ্বরে পৌঁছান। যারা বাবা ভোলেনাথকে পবিত্র নর্মদা নদীর জল নিবেদন করেন। কাভাদ যাত্রীদের সুবিধার জন্য, ইন্দোর এবং খান্ডোয়া জেলা প্রশাসন একসাথে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে এই সময়ের মধ্যে ইন্দোর-ইছাপুর জাতীয় সড়ক থেকে ভারী যানবাহন চলাচল সীমাবদ্ধ থাকবে।
No comments:
Post a Comment