বিদেশেও রয়েছে কিছু জনপ্রিয় মন্দির

 

বিদেশেও রয়েছে কিছু জনপ্রিয় মন্দির 

মৃদুলা রায় চৌধুরী, ০৭ জুলাই : মহাদেবের সাধনা বা উপাসনা করলে আমাদের সকল দুঃখ ও ভয় দূর হয়।  মহাদেবের পূজো করলে সুখ ও সমৃদ্ধি পাওয়া যায়।  আজ থেকে শুরু হয়েছে শ্রাবন মাস।  ভগবান শিবের উপাসনা ছাড়াও, তাঁর মন্দিরে যাওয়াও জীবনে সুখ এবং সমৃদ্ধি নিয়ে আসে। শুধু দেশে নয়, দেশের বাইরেও এমন অনেক শিব মন্দির রয়েছে যেখানে শুধুমাত্র দর্শন করলেই প্রতিটি ইচ্ছা পূরণ করা যায়।  আসুন এই মন্দিরগুলির কথা জেনে নেই-

 মুক্তি গুপ্তেশ্বর মন্দির অস্ট্রেলিয়া:

 মুক্তি গুপ্তেশ্বর মন্দির অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসে ভগবান শিবের উদ্দেশ্যে উৎসর্গীকৃত।  এই মন্দিরটি ১৩ তম জ্যোতির্লিঙ্গের সাথে সম্পর্কিত।  প্রসঙ্গত, সারা বছর প্রচুর সংখ্যক ভক্ত এখানে আসেন।

 নেপালের পশুপতিনাথ মন্দির:

কথিত আছে যে এই মন্দিরটি পান্ডবদের সাথে সম্পর্কিত এবং এটি ভগবান শিবকে উত্সর্গীকৃত।  নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে অবস্থিত এই মন্দিরে শিবের একটি বিখ্যাত মূর্তি রয়েছে, যার সাথে একটি খুব মজার ধর্মীয় কাহিনী সংযুক্ত রয়েছে।  হাজার হাজার দেশি-বিদেশি পর্যটক বা ভক্ত মন্দির দর্শন করতে আসেন।  পশুপতিনাথ শুধু শিবের দর্শনের জন্যই নয়, তার সৌন্দর্যের জন্যও বিখ্যাত।

 মুনেশ্বরম মন্দির শ্রীলঙ্কায় অবস্থিত:

 পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, এই মন্দিরটি ভগবান রাম এবং রাবণের সাথে সম্পর্কিত বলে বিশ্বাস করা হয়।  কথিত আছে, রাবণকে জয় করে এখানে ভগবান রাম ভগবান শিবের পূজো করেছিলেন।  এই কারণে এই মন্দিরটি রামায়ণ যুগের সাথে জড়িত।  

 ইন্দোনেশিয়ার প্রম্বানান মন্দির:

 ইন্দোনেশিয়ায় অনেক মন্দির রয়েছে।  এর মধ্যে একটি হল ইন্দোনেশিয়ার জাভাতে অবস্থিত প্রম্বানান মন্দির।  ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে স্বীকৃত এই মন্দিরের কমপ্লেক্স বেশ বড়।  মজার বিষয় হল, এখানে প্রায় ২৪০টি মন্দির রয়েছে।

 পাকিস্তানের কাটাসরাজ শিব মন্দির:

 বলা হয়, পাকিস্তানের এই শিব মন্দিরের ইতিহাস ৯০০ বছরের পুরনো।  এই মন্দিরের ইতিহাস ভগবান শিব এবং মাতা সতীর পাশাপাশি পাণ্ডবদের সাথে সম্পর্কিত।  কথিত আছে যে মাতা সতী যখন আগুনে নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন তখন শিবের কিছু অশ্রু এখানে পড়েছিল।  তাই এখানে অমৃত কুন্ড সরোবর গড়ে উঠেছে।