কার্গিল বিজয় দিবসে বীর সেনাবাহিনীর সাহসিকতার কথা
ব্রেকিং বাংলা ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৫ জুলাই : কার্গিল যুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিজয় পর থেকে প্রতি বছর ২৬ জুলাই বিজয় দিবস হিসাবে উদযাপন করা হয়। চলুন জেনে নেই বীর সেনাবাহিনীর সাহসিকতার গল্প-
কার্গিল যুদ্ধের সেই সৈন্যদের মধ্যে ক্যাপ্টেন বিক্রম বাত্রার নাম রয়েছে। ক্যাপ্টেন বাত্রা কার্গিলের পয়েন্ট ৪৮৮৫ কে পাকিস্তানের দখল থেকে মুক্ত করেছিলেন। বিক্রম বাত্রার সাংকেতিক নাম রাখা হয়েছিল শের শাহ।
মেজর রাজেশ সিং অধিকারীও কার্গিল যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। ১৮ গ্রেনেডিয়ারের জওয়ান রাজেশ সিং ১৯৭০ সালে উত্তরাখণ্ডের নৈনিতালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তার কোম্পানির উদ্দেশ্য পূরণের জন্য নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। মিশনের সময় অনেক শত্রু তাঁর হাতে নিহত হন।
নায়েব সুবেদার যোগেন্দ্র সিং যাদব ঘটক প্লাটুনের অংশ ছিলেন এবং প্রায় ১৬৫০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত টাইগার হিলে তিনটি বাঙ্কার দখলের দায়িত্ব পান। তার ব্যাটালিয়ন ১২ জুন টোলোলিং টপ দখল করে। বেশ কয়েকটি গুলিবিদ্ধ হয়েও তিনি তার মিশন চালিয়ে যান।
কারগিল যুদ্ধের অন্যতম নায়ক লেফটেন্যান্ট মনোজ কুমার পান্ডের নামও গর্বের সাথে নেওয়া হয়। মনোজ কুমার পান্ডে ছিলেন ১/১১ গোর্খা রাইফেলসের সৈনিক। দেশের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। তার দলকে শত্রু সৈন্যদের তাড়ানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। অনুপ্রবেশকারীদের পিছু হঠানোর জন্য তারা বেশ কয়েকটি হামলা চালায়।
১৪ হাজার ফুটেরও বেশি উচ্চতায় বসে থাকা শত্রুরা কার্গিল যুদ্ধে মেজর এম সরাবনানের উপর গুলি চালাতে শুরু করে। জুব্বার পাহাড় জয় করে বিহার রেজিমেন্টের বীরত্বের পতাকা উত্তোলন করেন সৈন্যরা।
কার্গিল যুদ্ধের সাহসী নারী যোদ্ধাদের মধ্যে একটি নাম খুবই বিখ্যাত। এই কার্গিল যোদ্ধার নাম ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট গুঞ্জন সাক্সেনা। ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট গুঞ্জন সাক্সেনা ছিলেন প্রথম ভারতীয় মহিলা পাইলট যিনি যুদ্ধে পাকিস্তানকে পরাজিত করেছিলেন।
No comments:
Post a Comment