খরচ কম লাভ বেশী এই সবজিতে
ব্রেকিং বাংলা ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৬ জুলাই : কৃষকরা এখন ঐতিহ্যবাহী ফসলের পাশাপাশি সবুজ শাকসবজি চাষ করছেন। বিশেষ করে বিহার, বাংলা, উত্তরপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, ওড়িশা ও হরিয়ানায় কৃষকরা ধান-গম চাষের চেয়ে উদ্যান চাষে বেশি আগ্রহ নিচ্ছেন। এই কারণেই আলু উৎপাদনে উত্তরপ্রদেশ এক নম্বরে, ভেন্ডি উৎপাদনে বিহার এবং কাঁঠাল উৎপাদনে ওড়িশা। এইভাবে, সমস্ত রাজ্যে কৃষকরা সব ধরণের সবজি চাষ করে, কিন্তু লাউয়ের ব্যাপারটি আলাদা। লাউ বাজারে সহজেই পাওয়া যায়। এর দাম প্রতি কেজি ২০ টাকা থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত।
লাউ ঔষধি গুণের খনি। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, প্রোটিন, আয়রন, সোডিয়াম এবং পটাশিয়াম পাওয়া যায়। এটি খেলে গ্যাস ও অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়াও, করলা খেলে ওজন কমে এবং পাঁচটি কাজ শক্তিশালী হয়। এমনকী, লাউয়ে জলের পরিমাণ বেশি থাকে। এই কারণে এটি পেট ঠান্ডা রাখে। লাউয়ের রস পান করলে ডিহাইফেনেশনের সমস্যায় পড়তে হবে না। এ কারণেই বাজারে লাউয়ের চাহিদা সবসময়ই থাকে। এমতাবস্থায় কৃষক ভাইরা যদি লাউ চাষ করেন তাহলে ভালো আয় করতে পারবেন।
লাউ যেকোনও মাটিতে চাষ করা যায় তবে হালকা দোআঁশ মাটিই ভালো। মাটির pH মান ৬ থেকে ৭ এর মধ্যে হওয়া উচিৎ। লাউ ক্ষেতে ভালো জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকতে হবে। অর্ক শ্রেয়াস, অর্ক বাহার, অর্ক নূতন এবং কাশী কুণ্ডলের মতো লাউয়ের অনেক প্রকার রয়েছে। বিশেষ বিষয় হলো কৃষক ভাইয়েরা বছরে তিনবার লাউ চাষ করতে পারেন। অর্থাৎ খরিফ, রবি ও জায়েদ মৌসুমে লাউ বপন করা যায়। কৃষক ভাইরা জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত লাউ বপন করতে পারেন।
লাউ ২ মাস পর সবজি উৎপাদন শুরু হবে। যদি লাউ সংগ্রহ করেন তবে সবসময় ডাঁটা দিয়ে তা করুন। এতে করে লাউ অনেকক্ষণ সতেজ থাকে। কৃষক ভাইয়েরা এক একরে লাউ চাষ করলে প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ হয়। সেখানে দুই মাস পর ৭০ থেকে ৯০ কুইন্টাল ফলন হবে। এভাবে দু মাস পর কৃষক ভাইরা লাউ বিক্রি করে এক লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। অর্থাৎ খরচের তুলনায় সুবিধা পাঁচ গুণ বেশি।
No comments:
Post a Comment