খড়গপুর আইআইটিতে আগুন লাগার ঘটনায় ছড়ালো চাঞ্চল্য
নিজস্ব সংবাদদাতা,কলকাতা , ০২ জুলাই : মধ্যরাতে খড়গপুর আইআইটি-তে ভয়াবহ আগুন লাগায় এলবিএস হলের কমনরুমে রাখা অনেক নথিপত্র ও জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পরে খড়্গপুর ও সালুয়া দমকলের কর্মীরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনার পর ছাত্র ও আইআইটি খড়গপুরের ম্যানেজমেন্টের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, রবিবার ভোর সাড়ে তিনটার দিকে হঠাৎ করেই লাল বাহাদুর শাস্ত্রী হলের কমনরুমে আগুন লাগে। সেখানে শিক্ষার্থীদের বিছানাসহ অনেক কিছু ছিল। তা আগুনে পুড়ে যায়।কী ভাবে এই আগুনের সূত্রপাত? এ নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। তবে অগ্নিকাণ্ডের সঠিক কারণ জানতে যথাযথ তদন্ত করা হবে বলে জানানো হচ্ছে।
সূত্র জানায়, রবিবার সকালে এলবিএস হলের কমনরুম কালো ধোঁয়ায় ভরে যায়। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় ফায়ার সার্ভিসকে। এরপর খড়্গপুর ও সালুয়া থেকে দমকলের দুটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। অগ্নিকাণ্ডের পরে, আইআইটি খড়গপুরের শীর্ষ প্রশাসনিক আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুরো বিষয়টির তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে সার্বিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন।
কমনরুমের ভেতরের জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেলেও বিশ্বমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। প্রশ্ন করা হচ্ছে ফায়ার ফাইটিং সিস্টেম নিয়ে।কয়েক বছর আগে খড়্গপুর আইআইটির হেলিপ্যাড এলাকায় আগুন লেগেছিল। এ সময় ক্যাম্পাসের প্রায় ১ কিলোমিটার এলাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ক্যাম্পাসে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে খড়্গপুর আইআইটি-তে ইন্টার্নশিপ করতে আসা ছাত্র সূর্য দীপনের মৃতদেহ উদ্ধারের পর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। সূত্রের খবর, ছাত্রের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওই ছাত্রের মৃত্যুর কারণ নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। একইভাবে আসামের এক ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায়ও প্রশ্ন উঠছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে। এসআইটি তদন্ত করছে।
No comments:
Post a Comment