স্কুলে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে কন্ডোম!
নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর দিনাজপুর, ২১ জুলাই :পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর রাজ্যে স্কুল খুলেছে। এখন ক্লাস রুম থেকে বাথরুম পর্যন্ত সর্বত্রই কন্ডোম পড়ে আছে। বিদ্যালয়ের এ অবস্থা দেখে শিক্ষক ও অভিভাবকরা হতবাক। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায়। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে প্রশাসনিক নজরদারি নিয়ে। নির্বাচনের সময় বিদ্যালয়টি কাকে দেওয়া হয়েছে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর চোপড়া ব্লকের নারায়ণপুর এফপি স্কুলে। অভিযোগ, স্কুল শেষ হওয়ার পর বাইরের লোকজন ঘোরাফেরা করে। স্থানীয় বাসিন্দারা আরও অভিযোগ করেছেন যে মাতাল লোকেরা পাঁচিল টপের ভেতরে ঘোরাফেরা করে।
তারা বলছেন, পুলিশ টহল দিলে এসব কর্মকাণ্ড বন্ধ করা সম্ভব। তিনি স্থানীয় প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোহাম্মদ ফয়রুদ্দিন জানান, এদিন সকালে বিদ্যালয় খোলার পর তিনি এ দৃশ্য দেখতে পান।
তিনি বলেন, "বাথরুমের অবস্থা একই, স্কুলের গেটে তালা দেওয়া।" শিক্ষক জানান, প্রধান শিক্ষক এখনো বিদ্যালয়ে আসেননি। তাকে সব বলা হয়েছে। যারা এ কাজ করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ বলে মন্তব্য করেন ওই শিক্ষক।
স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ জালালুদ্দিন বলেন, “কন্ডোম ক্লাসরুম থেকে বাথরুম পর্যন্ত খোলা অবস্থায় পড়ে আছে। এই দৃশ্য দেখার পর কেউ তাদের সন্তানকে সেখানে পাঠাতে চাইবে না।
তিনি বলেন, বন্ধ বাথরুমে কে কন্ডোম রেখে গেছে বুঝতে পারছেন না। নবনির্বাচিত গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য রাম রতন রাম বলেন, “ঘটনাটি খুবই খারাপ। এখন দেখা যাক কারা এটা করেছে? স্কুলের সঙ্গে কথা বলে পুলিশকে সব বলা হবে। সম্প্রতি বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য স্কুলের প্রাঙ্গণ ব্যবহার করা হয়েছিল এবং স্কুলগুলির এই অবস্থার কারণে অভিভাবক ও প্রশাসনের উদ্বেগ বেড়েছে। ইতিমধ্যেই নির্বাচনী সহিংসতায় শত শত বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এই বিষয়ে স্কুল শিক্ষা দফতর রাজ্য সচিবালয়, নবান্নে রিপোর্ট পাঠিয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ভোটের সময় বিদ্যালয় চত্বর ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। টেবিল-বেঞ্চ থেকে বাথরুমের ফ্যান ভেঙে ফেলা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment