কম ঘুমনো এবং অতিরিক্ত ঘুমনো কোনটি বিপজ্জনক?
ব্রেকিং বাংলা হেলথ ডেস্ক, ১৮ জুলাই : আমরা সবাই জানি যে সঠিক ঘুম সুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, সাধারণত ২ ধরনের ঘুম সংক্রান্ত সমস্যা হয়। প্রথমত, পুরোপুরি ঘুমতে না পারা এবং দ্বিতীয়ত, প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ঘুমনো। এই দুটি অবস্থাই বিপজ্জনক কারণ এটি আমাদের শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। আসুন জেনে নেই কেন কম ঘুমনো এবং বেশি ঘুমনো ক্ষতিকর এবং এর প্রভাব কী হতে পারে-
দিনে কতটা ঘুমনো উচিৎ :
সারা বিশ্বে করা অনেক গবেষণা অনুসারে, একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিকে রাতে অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমতে হবে, তবেই তার শরীরের কার্যকারিতা সঠিকভাবে কাজ করবে এবং সমস্যা দেখা দেবে না।
কম ঘুমের অসুবিধে :
রাতে ঠিকমতো ঘুম না হলে তার প্রভাব পরের দিন স্পষ্টভাবে দেখা যায়। এটি ক্লান্তি, অলসতা, শরীরের ভাঙ্গন, শক্তির অভাব হতে পারে। অনেক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এমনকি দাবি করেন যে কম ঘুমের কারণে হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকতে পারে।
বেশি ঘুমানোর অসুবিধে :
ঘুমনোর সময় ঠিক করতে হবে এবং অযথা তা পরিবর্তন করার চেষ্টা করা ঠিক নয়। অতিরিক্ত ঘুমনোর কারণে শরীরের নানা ধরনের ক্ষতি হতে পারে।
নারকোলেপসি:
নারকোলেপসি একটি অদ্ভুত ঘুমের ব্যাধি, যেখানে একজন ব্যক্তি দিনের বেলা অতিরিক্ত ঘুম পায় বা হঠাৎ ঘুমের আক্রমণ হয়। ভ্রমণের সময় এই পরিস্থিতি বিপজ্জনক হয়ে ওঠে।
স্লিপ অ্যাপনিয়া:
স্লিপ অ্যাপনিয়ায়, স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাসের কার্যক্রম প্রভাবিত হয় এবং নিয়মিত শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়। সেজন্য যতটা প্রয়োজন ততটা ঘুমনো ভাল।
ইডিওপ্যাথিক হাইপারসোমনিয়া'
যারা ইডিওপ্যাথিক হাইপারসোমনিয়ায় ভুগছেন তারা দৈনন্দিন জীবনের স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে গিয়ে খুব ক্লান্ত বোধ করেন এবং তাদের শরীরে ব্যথা ও ক্র্যাম্প শুরু হয়।
No comments:
Post a Comment