চতুর্থ স্তরের ক্যান্সার কতটা বিপজ্জনক?
ব্রেকিং বাংলা হেলথ ডেস্ক, ২৮ জুলাই : ক্যান্সারও শরীরের বিপজ্জনক ও মারাত্মক রোগের অন্তর্ভুক্ত। ক্যান্সার এমন একটি রোগ, নাম শুনলেই মানুষের প্রাণ কেঁপে ওঠে। বর্তমান যুগে এই রোগটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। দিন দিন বাড়ছে ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা। উন্নত চিকিৎসার ফলে কেউ কেউ এ রোগ থেকে মুক্তি পান, আবার কেউ কেউ স্বাস্থ্যগত জটিলতায় প্রাণ হারান। ক্যান্সার যদি প্রথম বা দ্বিতীয় পর্যায়ের হয়, তাহলে নিরাময়ের আশা থাকে। যেখানে তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যায়ে থাকলে মানুষের দুশ্চিন্তা বাড়ে। এখন প্রশ্ন হল চতুর্থ পর্যায়ের ক্যান্সার কি সত্যিই প্রাণঘাতী? চতুর্থ স্তরের ক্যান্সার রোগীদের বেঁচে থাকা কি সত্যিই কঠিন? চলুন জেনে নেই এই প্রশ্নগুলোর উত্তর-
চতুর্থ পর্যায়ের ক্যান্সার কতটা মারাত্মক:
চতুর্থ পর্যায়ের ক্যান্সার বিপজ্জনক এবং মারাত্মক বলে বিবেচিত হয়। কারণ এই পর্যায় আসার আগেই ক্যান্সার শরীরে ছড়িয়ে পড়েছে। ক্যান্সার কোষ শরীরের অন্যান্য অংশকে প্রভাবিত করতে শুরু করে। এ কারণেই পরিস্থিতি কিছুটা গুরুতর হয়ে ওঠে। তবে এটা মোটেও নয় যে কারো যদি চতুর্থ পর্যায়ের ক্যান্সার হয় তবে তার বেঁচে থাকা কঠিন বা অসম্ভব। অনেক সময় যখন ক্যান্সার কোষ এক অঙ্গ থেকে অন্য অঙ্গে স্থানান্তরিত হয়, তখন একে চতুর্থ পর্যায়ের ক্যান্সারও বলা হয়। তবে এটা মোটেও নয় যে প্রতি চতুর্থ পর্যায়ের ক্যান্সার মারাত্মক ও বিপজ্জনক বা এর চিকিৎসা সম্ভব নয়।
চতুর্থ পর্যায়ের ক্যান্সার কী নিরাময় করা যায়:
বর্তমান যুগে অধিকাংশ রোগের আধুনিক চিকিৎসা রয়েছে। আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি অনেক বিপজ্জনক রোগের চিকিৎসাকে সহজ ও সম্ভব করে তুলেছে। অন্ত্রের ক্যান্সার, মলদ্বার ক্যান্সার এবং কোলন ক্যান্সার এমন কিছু ক্যান্সার যা চতুর্থ পর্যায়েও নিরাময় করা যায়। শুধু তাই নয়, মুখ, জিভ এবং ফুসফুসের ক্যান্সারের কিছু ক্ষেত্রেও চতুর্থ পর্যায়ে নিরাময় করা যায়। এই ধরনের ক্যান্সারের চিকিৎসায় কেমোথেরাপি, রেডিয়েশন এবং সার্জারি ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে এবং অ্যালকোহল ও সিগারেট ত্যাগ করলেও ক্যান্সারকে দ্রুত হারানো যায়।
No comments:
Post a Comment