জানেন কী হেডফোনের ভলিউম কত হওয়া উচিৎ?
ব্রেকিং বাংলা হেলথ ডেস্ক, ১১ জুলাই : আগেকার দিনে বধিরতার সমস্যা বয়স্ক মানুষদের মধ্যে দেখা যেত, কিন্তু আজকের যুগে তরুণদের মধ্যে শ্রবণশক্তি হ্রাস বা বধিরতার সমস্যা দ্রুত বাড়ছে এবং এর অন্যতম কারণ হল হেডফোন। আসলে হেডফোনের উচ্চ শব্দ এবং কম্পন কানের পর্দাকে প্রভাবিত করতে পারে। চলুন জেনে নেই হেডফোনের ভলিউম কত হওয়া উচিৎ-
উচ্চ শব্দ কানের ক্ষতি করে:
আমাদের কানের ভেতরের অংশ খুবই স্পর্শকাতর। কানের ভেতরে হাজার হাজার কোষ রয়েছে এবং তাদের কিছু একটি চুলের চেয়েও পাতলা। এই কোষগুলো কানের মাধ্যমে মস্তিষ্কে শব্দ পাঠায়, কিন্তু যখন জোরে শব্দ হয় তখন এই কোষগুলোর ওপর বেশি চাপ পড়ে এবং তাদের কাজ ব্যাহত হয়। বিশেষ করে বেশি হেডফোন বা ইয়ারবাড ব্যবহার করলে কানের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়, কারণ এই উচ্চ শব্দ সরাসরি আমাদের কানে গিয়ে কানের কোষকে প্রভাবিত করে।
হেডফোনের শব্দে কানের পর্দা ফেটে যেতে পারে:
একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, ২ঘন্টা বা তার বেশি সময় ধরে ৮৫ ডেসিবেলের বেশি শব্দ শুনলে কানের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে, আর ১০৫ থেকে ১১০ ডেসিবেল মাত্রা পর্যন্ত শব্দ শুনলে ৫ মিনিটের মধ্যেও কানের ক্ষতি হতে পারে। শুধু তাই নয়, দীর্ঘক্ষণ হেডফোন ব্যবহার করে উচ্চস্বরে গান শুনলে বা কথা বললে কানের পর্দা ফেটে যাওয়ার ও কোষ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
হেডফোনের ভলিউম কত হওয়া উচিৎ :
বিশেষজ্ঞদের মতে, হেডফোন বা ইয়ারবাডের শব্দের মাত্রা ৬০ থেকে ৭০ ডেসিবেলের মধ্যে হওয়া উচিৎ। শুধু তাই নয়, একটানা হেডফোন ব্যবহার করা উচিৎ নয়। কানে বাতাস এবং অক্সিজেন সরবরাহের জন্য, সময়ে সময়ে হেডফোনগুলি সরিয়ে ফেলতে হবে, যাতে সংক্রমণের ঝুঁকি না থাকে। ইয়ার ফোনের ভেতরে থাকা রাবার সেটটি সময়ে সময়ে পরিষ্কার বা পরিবর্তন করতে হবে।
এই জিনিসের যত্ন :
শুধু হেডফোন লাগিয়েই নয়, যদি এমন কোনো অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন যেখানে খুব জোরে শব্দ হয়, তাহলে কানে কিছু তুলো লাগানোর চেষ্টা করুন। সাথে কান পরিষ্কারের জন্যও বিশেষ যত্ন নিতে হবে। কখনই কানের পর্দা কোনও ধারালো বস্তু দিয়ে কান পরিষ্কার করা উচিৎ নয়, বরং এটি বিশেষজ্ঞের দ্বারা পরিষ্কার করা উচিৎ। কানে ব্যথার মতো সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিৎ।
No comments:
Post a Comment