প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দুর্নীতি! তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা, ১৮ জুলাই : প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা দুর্নীতি মামলার তদন্ত করতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ এনে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবগনমের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি করে বেঞ্চ এই নির্দেশ দিল।
এদিনের শুনানিতে, কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে একাধিক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে একটি তদন্ত করার এবং একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। ডিএমকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
এদিনের শুনানিতে, আবেদনকারীর পক্ষে যুক্তি দেওয়া হয়েছিল যে সঠিক ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার সুবিধা পাচ্ছেন না। কিন্তু যারা এই প্রকল্পের আওতায় আসছেন না, তাদের নামে টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
আবেদনকারীর অভিযোগ, এক ব্যক্তির একাধিক অ্যাকাউন্টে টাকা যাচ্ছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে অর্থ বরাদ্দ থাকলেও টাকা পৌঁছায়নি। আবেদনকারীর অভিযোগ, তালিকায় অবৈধভাবে অনেকের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যার কারণে প্রকৃত অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এর পরে, কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা কালেক্টরকে অভিযোগের তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
উল্লেখ্য এর আগে মুর্শিদাবাদের কান্দি পৌরসভার আবাসন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। পুরসভার কাছে রিপোর্ট চেয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে বিরোধীদের কাছ থেকে কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। বিরোধী দল বিশেষ করে বিজেপি অভিযোগ করেছে যে বাংলায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার নাম পরিবর্তন করে বাংলা আবাস যোজনা করা হয়েছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, রাজ্যে চলমান কেন্দ্রীয় সরকারের পরিকল্পনা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার পক্ষপাতিত্ব দেখাচ্ছে। MNREGA সহ অনেক কেন্দ্রীয় প্রকল্পের তহবিল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে বিরোধীদের অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার যে অর্থ বরাদ্দ করেছে তার হিসাব দেওয়া হয়নি। বাংলায় এই আইটেম নিয়ে দুর্নীতির বহু অভিযোগ উঠেছে। এতে দলীয় কর্মীরা উপকৃত হচ্ছেন।
No comments:
Post a Comment