গবাদি পশুর দুধ উৎপাদন বাড়বে এই ঘাস খেলে
ব্রেকিং বাংলা ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৯ জুন : হিট ওয়েভ তার প্রবল রূপ দেখাতে শুরু করেছে। এতে মানুষের পাশাপাশি গবাদি পশুরাও বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। অতিরিক্ত গরমের কারণে অনেক গবাদি পশু দুধ উৎপাদন কমিয়ে দেয়। এতে দুধ উৎপাদনে প্রভাব পড়ে। এ জন্য পশুদের খাওয়াতে হবে এই বিশেষ ধরনের ঘাস।
পশু চিকিৎসকদের মতে, গ্রীষ্মের মৌসুমে প্রাণীরা অলস হয়ে পড়ে। পশুরা তাদের খাবার খাওয়া কমিয়ে দেয়, যার কারণে তাদের দুধ দেওয়ার ক্ষমতা কমে যায়। এমতাবস্থায় কৃষক ভাইরা যদি গবাদি পশুকে বিশেষ ধরনের সবুজ ঘাস খাওয়ান তাহলে গবাদিপশু আগের মতোই দুধ দিতে থাকবে। এর পাশাপাশি গরু-মহিষকে সবসময় ছায়ায় বেঁধে সকাল-সন্ধ্যা জল দিয়ে স্নান করান। এ কারণে গ্রীষ্ম মৌসুমে গবাদিপশু সুস্থ থাকে। তাহলে চলুন আজ জেনে নিই, গবাদি পশুকে খাওয়ানো প্রধান তিনটি ঘাস সম্পর্কে-
নেপিয়ার ঘাস:
নেপিয়ার ঘাস প্রাথমিকভাবে থাইল্যান্ডের একটি ঘাস, তবে এদেশের কৃষকরা এখন এটি চাষ করছেন। এই ঘাসটি দেখতে হুবহু আখের মতো। একে এলিফ্যান্ট গ্রাস নামেও চেনে অনেকে। অনুর্বর জমিতেও এই ঘাস জন্মায়। এমতাবস্থায় এর চাষে খুব কম খরচ করতে হবে। নেপিয়ারে সাধারণ সবুজ ঘাসের চেয়ে ২০% বেশি প্রোটিন রয়েছে। এছাড়াও, এতে ৪০ শতাংশ অপরিশোধিত ফাইবার পাওয়া যায়। নেপিয়ার ঘাস বপনের পর এটি ৪৫ দিনের মধ্যে সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত হয়। কৃষক ভাইরা যদি গ্রীষ্মের মৌসুমে গবাদি পশুকে নেপিয়ার ঘাস খাওয়ান, তাহলে গবাদিপশু আগের মতোই দুধ দিতে থাকবে।
কামবালা পশুখাদ্য:
এই ঘাস জন্মানোর জন্য এই মেশিনে বিভিন্ন ছাঁচ তৈরি করা হয়, যাতে বীজ রেখে বছরের পর বছর ধরে সবুজ ঘাস পেতে পারেন এবং গবাদি পশুদের খাওয়াতে পারেন।
অ্যাজোলা ক্যাটল ফিড:
অ্যাজোলা ক্যাটল ফিড হল এক ধরনের ঘাস যা জলে জন্মে। এটি প্রাণীদের জন্য প্রোটিন সম্পূরক হিসাবে পরিচিত। অ্যাজোলা পশুর খাদ্যে ম্যাগনেসিয়াম, তামা, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস, আয়রন এবং ক্যালসিয়াম সহ অনেক পুষ্টি রয়েছে। এর পাশাপাশি এতে অ্যামিনো অ্যাসিড, প্রোবায়োটিকস এবং বায়ো-পলিমারসহ অনেক ধরনের ভিটামিনও পাওয়া যায় যা দুধের উৎপাদন বাড়ায়।
No comments:
Post a Comment