এই গ্রামে কেউ জুতো পড়ে না
ব্রেকিং বাংলা ন্যাশনাল ডেস্ক, ১৮ জুন : ফ্যাশনের এই যুগে সবাই সেরা পোশাক পরতে চায়। এতে জুতো ও চটিও আসে। জুতো ও চটি ছাড়া এক পা হাঁটাও কঠিন। আসলে খালি পায়ে হাঁটা নিরাপদ নয়। পায়ে কাঁটা বা কাঁচ লেগে যাওয়ার ভয় থাকে। এছাড়াও, খালি পায়ে হাঁটার ফলে ক্ষতিকারক মাইক্রোস্কোপিক ব্যাকটেরিয়া শরীরে প্রবেশ করতে পারে। কিন্তু আমাদের দেশে এমন একটি গ্রামও আছে যেখানে লোকজন খালি পায়ে থাকে। তাঁরা জুতো বা চটি ব্যবহার করেন না। কোথায় আছে সেই গ্রাম চলুন জেনে নেই-
কোনো এমপি, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা অন্য কোনো সরকারি আধিকারিকও এ গ্রামে এলে তাকেও গ্রামের বাইরে জুতো -চটি খুলে আসতে হয়। শুধু তাই নয়, এখানকার মানুষ হাসপাতালেও যায় না। যতই দূরত্ব অতিক্রম করতে হয় না কেন, এই গ্রামের লোকজন খালি পায়ে হেঁটে যায়। এই গ্রাম সবার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।
অন্ধ্রপ্রদেশে অবস্থিত এই গ্রামের নাম ভেমানা ইন্দলু। তিরুপতি থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই গ্রামে ২৫টি পরিবারের প্রায় ৮০ জন লোক বাস করে। সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এই গ্রামে শুরু থেকেই এই ঐতিহ্য চলে আসছে। গ্রামের নিয়ম হল বাইরে থেকে কেউ এলে স্নান না করে গ্রামে ঢুকতে পারে না।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্রামের অধিকাংশ মানুষ নিরক্ষর এবং কৃষির ওপর নির্ভরশীল। গ্রামবাসীরা তাদের দেবতা এবং গ্রাম প্রধানকে যে কোনও আধিকারিককে সব চেয়ে বেশি মান্য করে। তথ্য অনুযায়ী, তারা পালভেকরি সম্প্রদায়ের। যারা নিজেদেরকে ডোরাভারলু বলে পরিচয় দেয়, এরা একজন অনগ্রসর শ্রেণী।
সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো এখানে কেউ হাসপাতালে যায় না। এই লোকেরা বিশ্বাস করে যে তারা যে দেবতার পূজো করে আসছে সেই-ই তাদের রক্ষা করবে। সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, গ্রামেই তৈরি একটি মন্দিরে সকলেই পুজো করেন। অসুস্থ হলে, লোকেরা গ্রামে অবস্থিত একটি নিম গাছ প্রদক্ষিণ করে, কিন্তু কেউ হাসপাতালে যায় না।
No comments:
Post a Comment