বিপর্যয় নয়া রেকর্ড
ব্রেকিং বাংলা ন্যাশনাল ডেস্ক, ১৬ জুন : ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় গুজরাটে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর এখন রাজস্থানের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। প্রথমে গুজরাটের জাখাউ বন্দরে ধাক্কা মারে এই ঘূর্ণিঝড়। সেখানে দ্রুত বাতাস বইতে শুরু করে এবং প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়। এই ঝড়ে বহু পশু মারা যায় এবং বহু মানুষ আহত হয়। শতাধিক গ্রামও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ঝড় এড়াতে প্রায় ১ লক্ষ লোকজনকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ১০ দিন ধরে আরব সাগরে চলছিল এই ঝড়, তারপর উপকূলে পৌঁছেছে। সেই সাথে এই ঝড় নতুন রেকর্ডও গড়েছে, আরব সাগরে সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী ঝড় হয়ে উঠেছে বিপর্যয়।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৪ জুন বিপর্যয় পূর্ব দিকে মোড় নেয়, এর আগে আরব সাগরে টানা ৮ দিন ধরে উত্তর দিকে অগ্রসর হচ্ছিল এই ঝড়। উষ্ণ সাগরের পৃষ্ঠের তাপমাত্রার কারণে এই ঝড়টি সমুদ্রে বেশি সময় কাটায়। এর আগে এতদিন আরব সাগরে কোনও ঝড় দেখা যায়নি। ২০১৯ সালে, সাইক্লোন কিয়ার প্রায় ৯ দিন স্থায়ী হয়েছিল। এবার সেই রেকর্ড ভেঙে দিল বিপর্যয়।
আইআইটি বোম্বে-এর ভিজিটিং প্রফেসর রঘু মুর্তুগুড্ডে বলেছেন যে ববিপর্যয়ের দীর্ঘায়ু হওয়ার কারণ আরব সাগরের উষ্ণ জল। জলবায়ু পরিবর্তন কীভাবে ক্রমাগত প্রভাবিত করছে তারও এটি একটি উদাহরণ। এটি ঝড়কে দীর্ঘস্থায়ী করতে সহায়তা করছে। তিনি জানান, আরব সাগরে জলের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি হলে ৬ জুন সকালে ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয়। আরব সাগরের অস্বাভাবিক উষ্ণ জল দুবার ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়কে সুপারচার্জ করেছে। যার কারণে এর গতি বাড়তে থাকে।
গুজরাট উপকূলে পৌঁছলে এই ঝড়ের গতি ছিল ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটারের বেশি। এই ঘূর্ণিঝড়ের আগে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল এবং উপকূল থেকে মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। প্রায় ১ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ স্থানে পাঠানো হয়েছে। এ কারণেই এখন পর্যন্ত কোনও হতাহতের তথ্য জানা যায়নি। যদিও প্রায় ২২ জন আহত হয়েছে এবং অনেক পশু মারা গেছে।
No comments:
Post a Comment