রাজস্থানে সতর্ক অবস্থায় এনডিআরএফ

 

 রাজস্থানে সতর্ক অবস্থায় এনডিআরএফ

ব্রেকিং বাংলা ন্যাশনাল ডেস্ক, ১৬ জুন : গুজরাট উপকূলে আঘাত হানার পর বিপর্যয়ের ঝড়ের গতি কমে এসেছে।  এখন এই ঝড় রাজস্থানের দিকে ধেয়ে আসছে।  দক্ষিণ রাজস্থানে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।  ঝড় মোকাবিলার প্রস্তুতি জোরদার করা হয়েছে রাজস্থানে।  এনডিআরএফ- এর ডিজি অতুল কারওয়াল শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন করে তার অভিযান সম্পর্কে তথ্য দিয়েছেন।

 ডিজি অতুল কারওয়াল বলেছেন, "ঝড়টি দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ায় দক্ষিণ রাজস্থানে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রাজস্থান সরকারের অনুরোধে আমরা একটি দল জালোরে পাঠিয়েছি। মহারাষ্ট্রেও ৫ টি দল মোতায়েন করা হয়েছে।"

 প্রবল বাতাস এবং মুষলধারে বৃষ্টির সাথে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় গুজরাটে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে।  দুর্বল হওয়ার আগেই ঘূর্ণিঝড় জনজীবন ব্যাহত করে।  উপড়ে ফেলেছে গাছ।  বিদ্যুৎ পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।  সাগর উপকূলে প্রবল ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে।  ক্ষয়ক্ষতির তথ্য দিতে গিয়ে ডিজি অতুল কারওয়াল বলেছেন, "ভূমিধসের আগে দু'জনের মৃত্যু হয়েছিল। ভূমিধসের পরে কোনও প্রাণহানি হয়নি। ২৪টি পশু মারা গেছে এবং ২৩ জন আহত হয়েছে। প্রায় হাজার গ্রামে বিদ্যুৎ নেই।জল সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে। ৮০০টি গাছ পড়ে গেছে। রাজকোট ছাড়া কোথাও খুব বেশি বৃষ্টি হচ্ছে না।"

গুজরাটের কচ্ছের কালেক্টর অমিত অরোরা বলেন, "প্রবল বাতাসের কারণে অনেক জায়গায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে না। ক্ষতির সমীক্ষা চলছে। সমীক্ষার পর সঠিক পরিসংখ্যান আসবে। বৈদ্যুতিক খুঁটি ও ট্রান্সফরমারের বেশি ক্ষতি হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করব। ২টি মহাসড়ক বন্ধ রয়েছে যেখান থেকে গাছ সরানোর কাজ চলছে।

 গুজরাটের মরবি জেলায় ঘণ্টায় ১১৫-১২০ কিমি বেগে প্রবল বৃষ্টি ও বাতাসের কারণে ৩০০টিরও বেশি বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে গেছে।  এ সময় ৪৫টি গ্রামে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।  উপকূলীয় জেলাগুলোর অনেক জায়গায় সড়ক ক্লিয়ারেন্স কার্যক্রম চলছে।

 ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয় ’-এর প্রভাবে কিছু ট্রেনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।  গুজরাটে 'বিপর্যয়' ঘূর্ণিঝড়ের পরিপ্রেক্ষিতে ঘূর্ণিঝড় প্রবণ এলাকায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে পশ্চিম রেলওয়ে কিছু ট্রেন বাতিল বা আংশিকভাবে বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।