গরম থেকে বাঁচাবে এই টিপস
ব্রেকিং বাংলা লাইফ স্টাইল ডেস্ক, ১৫ জুন : গ্রীষ্মের ঋতুতে ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা শুধুমাত্র শারীরিক স্বাস্থ্যকেই প্রভাবিত করে না, ত্বক ও চুলকেও প্রভাবিত করে। এছাড়াও, দীর্ঘক্ষণ সূর্যের সংস্পর্শে হিটস্ট্রোক এবং অন্যান্য তাপজনিত অসুস্থতার ঝুঁকি বাড়ায়। গরমে জল শূন্যতার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি থাকে। তাই গ্রীষ্মের মৌসুমে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা খুবই জরুরি।
তবে আয়ুর্বেদও গরমকে হারাতে খুবই উপকারী প্রমাণিত হতে পারে। আমাদের শরীর বিভিন্ন ঋতুতে বিভিন্নভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায়। তাই আয়ুর্বেদের প্রতিটি ঋতুর জন্য নির্দিষ্ট নির্দেশিকা রয়েছে, যা ঋতুচর্য নামে পরিচিত। প্রাচীন রীতি অনুসারে গরম কাল মে মাসের মাঝামাঝি থেকে জুলাইয়ের মাঝামাঝি পর্যন্ত থাকে এবং এই সময়ে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে আয়ুর্বেদের কিছু নিয়ম মেনে চলা যেতে পারে। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ গ্রীষ্মে ঠাণ্ডা থাকার তিনটি টিপস দিয়েছেন, আসুন জেনে নেই সেগুলি সম্পর্কে-
দিনের ঘুম:
আয়ুর্বেদ অনুসারে, গ্রীষ্মের ঋতুতে বিকেলে শীতল জায়গায় ঘুমানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। গরম আবহাওয়ার কারণে, সূর্য আমাদের বেশিরভাগ শক্তি শোষণ করে। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ ডাঃ দীক্ষার মতে, গ্রীষ্মকালে দিনের বেলা ঘুমানো শক্তি ফিরে পেতে সাহায্য করে। এটি মানসিক এবং শারীরিক ক্লান্তি থেকে মুক্তি দেয়। গরমে খাওয়ার ১ ঘণ্টা পর ঘুমনো উপকারী প্রমাণিত হতে পারে।
রাত কাটান বাইরে:
আয়ুর্বেদ অনুসারে, গ্রীষ্মের সময় রাতে বাইরে চাঁদের আলোর নীচে সময় কাটানো উচিৎ। গ্রীষ্মকালে রাতে বাইরে সময় কাটানো বিশেষ করে চাঁদের দিকে মুখ করে ঘুমানো দিনের ক্লান্তি দূর করে। চাঁদের আলো মন ও শরীরকে শীতল করে এবং ভালো ঘুম পেতে সাহায্য করে।
প্রাকৃতিক ঠান্ডা জল পান করা:
আয়ুর্বেদ প্রাকৃতিক উপায়ে ঠান্ডা জল পান করার পরামর্শ দেয়। গরম এড়াতে পদ্ম, গোলাপ, পোস্ত, পুদিনা ও ধনে জল পান করতে হবে। এটি সানস্ট্রোক এড়াতে সাহায্য করে। এ ছাড়া হাঁড়িতে রাখা জল পান করলে আমাদের শরীরে পিএইচ লেভেলের ভারসাম্য বজায় থাকে।
No comments:
Post a Comment