মিঠুন চক্রবর্তীর অজানা তথ্য
ব্রেকিং বাংলা বিনোদন ডেস্ক, ১৬ জুন : ১৬ই জুন ১৯৫০ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন, বলি ও টলির জনপ্রিয় অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতির জগতেও তার দক্ষতা দেখিয়েছেন। মিঠুন, যিনি তার প্রথম চলচ্চিত্রের জন্য সেরা অভিনেতার জাতীয় পুরস্কার জিতেছিলেন, জীবনে অনেক সংগ্রাম করেছেন। আসলে ছোটবেলা থেকেই অভিনয় জগতে পা রাখতে চেয়েছিলেন মিঠুন। এই কারণে, তিনি B.Sc এর পর ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট পুনে থেকে স্নাতক হন।
পড়াশোনা শেষে নকশাল মতাদর্শের সঙ্গে যুক্ত হন মিঠুন। তিনি নকশালদের সংস্পর্শে আসেন এবং নকশাল নেতা রবি রঞ্জনের সাথে বন্ধুত্ব করেন। তবে তার পরিবার তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালায়। এ সময় তার বাড়িতে দুর্ঘটনা ঘটে। সেসময় মিঠুনের ভাই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান, তারপরে তিনি নকশালদের সাথ ছেড়ে দেন।
মিঠুন যখন ভাগ্য পরীক্ষা করতে মুম্বাই পৌঁছেছিলেন, তখন তাকে অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছিল। আসলে মিঠুনের কোনো গডফাদার ছিল না। বেশ কয়েক মাস মুম্বইয়ে কাজ পাননি তিনি। এমতাবস্থায় দুবেলা রুটির জন্যও তিনি পরনির্ভরশীল হয়ে পড়েন। অনেক দিন অভুক্ত থাকতে হয়েছে তাঁকে।এ সময় তাঁর মাথা গোজার জায়গাও ছিল না। রাতে ভবনের ছাদে ও জলের ট্যাঙ্কে ঘুমতেন তিনি। সেখানে দিনের বেলায় কাজ পাওয়া যেত। অনেক পরিশ্রম ও অপেক্ষার পর তিনি হেলেনের সহকারী হওয়ার সুযোগ পান। এরপর চলচ্চিত্রে ছোট চরিত্রে অভিনয় করেন।
১৯৭৬ সালে মৃগয়া চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে মিঠুন তার ক্যারিয়ার শুরু করেন। এই ছবির জন্য তিনি সেরা অভিনেতার জাতীয় পুরস্কার পান। কিছুদিন পর তিনি ডিস্কো ডান্সার ছবিতে কাজ করেন যা সুপারহিট হয়। এটি ছিল দেশের প্রথম চলচ্চিত্র, যেটি ১০০ কোটি রুপি আয় করে।
১৯৯৩ থেকে ১৯৯৮ পর্যন্ত, তার টানা ৩৩টি ছবি ফ্লপ হয়। তবে এটি তার স্টারডমে প্রভাব ফেলেনি। সে সময় টানা ১২টি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন মিঠুন। মিঠুন চক্রবর্তীর মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ২৮২ কোটি টাকা। অভিনয় ছাড়াও তিনি ব্যবসা, শো এবং ব্র্যান্ড এন্ডোর্সমেন্ট থেকে প্রচুর আয় করেন।
No comments:
Post a Comment