পার্টনারের দেহ লোপাট করার নৃশংস ঘটনা সামনে এল
ব্রেকিং বাংলা ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৮ জুন : মুম্বাইয়ের মিরা রোড এলাকায় লিভ-ইন রিলেশনশিপে থাকা ৫৬ বছর বয়সী এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে রুম পার্টনারকে নৃশংসভাবে খুন করে দেহ লোপাট করার। আসলে, ঘটনাটি ঘটেছে মীরা ভাইন্দর ফ্লাইওভারের কাছে গীতা নগর ফেজ-৭-এ। ৫৬ বছর বয়সী মনোজ সানে এবং তার রুম পার্টনার সরস্বতী বৈদ্য, ৩২ একসাথে থাকতেন।
সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, অভিযুক্ত ব্যক্তি মৃতদেহের টুকরো করে প্রেসার কুকারে সেদ্ধ করে মিক্সারে পেস্ট বানাতো তারপর সেটি ফেলে দিত। বর্তমানে পুলিশ গ্রেফতার করেছে ওই ব্যক্তিকে এবং বাড়ি থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত সব উপকরণ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
এই দম্পতি গত তিন বছর ধরে লিভ-ইন সম্পর্কে বসবাস করছিলেন। বুধবার সকালে এই ভবনে বসবাসকারী প্রতিবেশীরা বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ ছড়াতে শুরু করলে তারা নয়ানগর থানায় খবর দেয়।
নয়ানগর পুলিশ বাড়িতে প্রবেশের পর ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। ওই ব্যক্তি মৃতদেহ কেটে টুকরো টুকরো করে ফেলেছিল। তথ্য অনুযায়ী, ট্রি মেশিন দিয়ে কাটা শরীরের কাটা টুকরো গুলো মিক্সার মেশিন দিয়ে পেস্ট করতো, যদিও হত্যার কারণ অনুসন্ধান শুরু করেছে পুলিশ।
সূত্রের খবর, অভিযুক্ত মনোজ সানের সন্দেহ ছিল যে মৃত সরস্বতী বৈদ্যের অন্য কোথাও পরকীয়া ছিল এবং সেই কারণেই গত ৩-৪দিন ধরে দুজনের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। মৃত সরস্বতী বৈদ্য দু-তিন দিন আগে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন। তার আত্মহত্যার জন্য পুলিশ মনোজকে দোষারোপ করবে এই ভয়ে অভিযুক্ত মনোজ সরস্বতীর মৃতদেহ লোপাট করার পরিকল্পনা করে।
তথ্যমতে, মনোজ ট্রি মেশিন দিয়ে মরদেহ টুকরো টুকরো করে কেটে কুকারে টুকরোগুলো সেদ্ধ করে মিক্সারে পিষে ফেলতেন। এরপর মনোজ নর্দমায় ওই মরদেহের কিছু অংশ ফেলেছেন বলেও জানা গেছে।
হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত গৃহস্থালি সামগ্রীসহ মৃতদেহ ময়লা ফেলার কাজে ব্যবহৃত বাইকটিও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত এবং জেরা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া যাবে না।
No comments:
Post a Comment