কিউই চাষের উপায়
ব্রেকিং বাংলা ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৯ জুন : কিউই একটি বিদেশী ফল, তবে এখন এদেশে এর চাষ শুরু হয়েছে। কিউই খেলে শরীর পর্যাপ্ত ভিটামিন ও পুষ্টি পায়। কিউই একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ফল। এটি খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। এতে ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, ফাইবার, পটাসিয়াম, রিবোফ্লাভিন, বিটা ক্যারোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফসফরাস, কপার এবং জিঙ্ক সহ অনেক পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। এই কারণেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীদের কিউই খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
এই ধরনের কিউই চীনের প্রধান ফসল, এদেশের উত্তরপ্রদেশ, জম্মু-কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড, উত্তরাখণ্ড, কেরালা, সিকিম, মেঘালয় এবং অরুণাচল প্রদেশে কৃষকরা এটি ব্যাপকভাবে চাষ করছেন। কৃষক ভাইয়েরা কিউই চাষ করলে কম সময়ে বেশি আয় করতে পারবেন। এ ধরনের কিওয়ের হার অনেক বেশি। এটি আপেল এবং কমলার চেয়ে অনেক বেশি দামে বিক্রি হয়। তা সত্ত্বেও বিক্রি হয় প্রচুর।
কৃষকরা বেশিরভাগই মন্টি, তুমায়ুরি, হেওয়ার্ড, অ্যাবট, অ্যালিসন এবং ব্রুনো জাতের কিউই চাষ করে, কারণ এই জাতগুলি এখানকার জলবায়ুর সাথে উপযোগী। শীত মৌসুমে এ ধরনের কিউই চাষ করা ভালো। জানুয়ারি মাসে রোপণ করলে বৃদ্ধি ভালো হয়। কৃষক ভাইয়েরা যদি কিউই চাষ করতে চান, তাহলে বেলে দোআঁশ মাটিতে এর চারা রোপণ করুন। এর সাথে সাথে তার বাগানে তার ক্ষেতে ভালো জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকতে হবে। ফলে গাছে দ্রুত ফল আসতে শুরু করে।
কৃষক ভাইয়েরা চাইলে তাদের বাগানে কুঁড়ি বা কলম পদ্ধতিতে কিউই গাছ লাগাতে পারেন। এ জন্য প্রথমে মাঠে গর্ত খনন করতে হবে। এর পরে, গর্তে বালি, মাটি, কাঠের করাত, পচা সার এবং কয়লার করাত দিন। এরপর প্রতিস্থাপন করুন এই গাছ। এতে ভালো ফলন পাওয়া যাবে। বিশেষ বিষয় হল কিউই ফল দ্রুত নষ্ট হয় না। ফসল কাটার পরে, ৪ মাস ধরে এর ফল সংরক্ষণ করতে পারেন। এক হেক্টর জমিতে কিউই চাষ করলে বছরে ১২ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় হবে।
No comments:
Post a Comment